পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬০

নেপালে বঙ্গনারী।

তিনদিন নেপালীগণ উন্মত্তের ন্যায় পথে ঘাটে জুয়া খেলিয়া বেড়ায়।

 ১৪। ১৬ই কার্ত্তিক নেপালীদিগের কুকুরপূজার দিন। সে দিন পথে ঘাটে দেখি কুকুরের গলায় মাল্য, কপালে টীকা। ৩৬৪ দিন তাহারা সর্ব্বত্র প্রহারদ্বারা অভ্যর্থিত হয়; কিন্তু এই একটী দিবস তাহারা সমাদর, আহার, পূজা সকলই লাভ করে। বোধ হয় “অহিংসা পরমোধর্ম্মবাদী” বৌদ্ধগণ জীবগণের প্রতি প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ এই উৎসবের প্রবর্ত্তন করিয়াছিলেন।

 ১৫। ভাইপূজা—আমাদের দেশে যেদিন ভগিনীগণ ভাইএর কপালে ফোঁটা দেন সেই দিনই নেপালী-সুন্দরীগণ ভাইপূজায় প্রবৃত্ত হন। ইহা রীতিমত ভাইপূজার ব্যাপার—জ্যেষ্ঠা ভগিনী কনিষ্ঠ ভ্রাতাকেও এই দিবস পূজা করেন এবং নানাবিধ মিষ্টান্ন আহার করাইয়া পরিতৃপ্ত করেন।

 ১৬। বালচতুর্দ্দশী—এই দিবসে বানরদিগের উৎসব। পশুপতিনাথের নিকটস্থ মৃগস্থলী নামক বনে গিয়া সকলে চাউল প্রভৃতি খাদ্য দ্রব্য চতুর্দ্দিকে নিক্ষেপ করে। বানরেরা আসিয়া আনন্দে আহার করে।

 ১৭। কার্ত্তিক পূর্ণিমা-—এই দিবস নেপালের সধবা সুন্দরীগণ উপবাস করেন এবং সকলে পশুপতিনাথ দর্শন করিতে আসেন। পরদিন প্রাতে স্বামীর চরণ পূজা করিয়া জলগ্রহণ করেন। ইহার অপর নাম তীজব্রত।