পাতা:পওহারী বাবা.djvu/১৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পওহারী বাবা।

 ধর্ম্মের সহিত সংযুক্ত না হইলে এবং অল্প বিস্তর কৃতকার্য্যতার সহিত উহাকে কর্ম্মজীবনে পরিণত করিতে যত্নবান্‌ একদল অনুবর্ত্তী না পাইলে, মানবজাতির নিকট দর্শনশাস্ত্র-সমূহ নিরর্থক প্রতীয়মান হয়, জোর উহা কেবল মানসিক ব্যায়াম মাত্র বলিয়া গণ্য হইতে পারে। যে সকল মতে একটা কিছু প্রত্যক্ষ বস্তু পাইবার আশা দেয় না, যখন কতকগুলি লোকে সেইগুলিকে গ্রহণ করিয়া কতকটা কার্য্যে পরিণত করে, উহাদেরও স্থায়িত্বের জন্য জনসঙ্ঘের আবশ্যক করে, আর উহার অভাবে প্রত্যক্ষবাদাত্মক অনেক মত লোপ পাইয়াছে।

 আমাদের মধ্যে অনেকেই চিন্তাশীলতা বা মননশীলতার সহিত কর্ম্মের সামঞ্জস্য রাখিতে পারি না। কতকগুলি মহাত্মা পারেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই বোধ হয়, গভীরভাবে মনন করিতে যাইলে কার্য্যশক্তি হারাইয়া ফেলি এবং অধিক কার্য্য করিতে গেলে আবার গভীর চিন্তাশক্তি হারাইয়া বসি। এই কারণেই অনেক মহামনস্বিগণকে, তাঁহারা যে সকল উচ্চ উচ্চ আদর্শ জীবনে উপলব্ধি করেন, সেই গুলি জগতে কার্য্যে পরিণত করিবার ভার কালের হস্তে ন্যস্ত করিয়া যাইতে হয়। যতদিন না অপেক্ষাকৃত ক্রিয়াশীল মস্তিষ্ক আসিয়া উহাদিগকে কার্য্যে পরিণত ও প্রচার করিতেছেন, ততদিন তাহাদের মননরাশিকে অপেক্ষা করিয়া থাকিতে হইবে। কিন্তু এই কথা লিখিতে লিখিতেই আমরা যেন