এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চকমালা।
(৩)
হায়রে সেকাল! আমায় লোকে বুড়া বলে যাচ্চে বোকে!
দুনিয়াতে দেখ্লেম মজা হাজার রকম আজ্গুবি!
যম বেটা সে মুদ্দফরাস্— স্বয়ং পেলেন্ বুদ্ধ তরাস্-
আমার অঙ্গ এত ভঙ্গ, সেই বেটারই কারচুপি।
ওরে রে ডোম্ ওরে চণ্ডাল, (হার মেনেছে গথ্ ভেণ্ডাল!)
ভেঙ্গে দিলি ঝঞ্জাবাতে সাধের কুঞ্জ যৌবনের!
সতেজ শ্যামল আশার তরু, এত শুক্নো, এত সরু?
ধূলায় গড়ায় ঝরা পাতা; এই কি ভাগ্য ঐ বনের?
(৪)
যাকগে কথা মিছে ভাবাই; কিন্তু কেন তোম্রা সবাই
আদর করার ছলে এসে দিচ্চ কোসে কান্মোলে?
উড়্ল যমের এক্ তুড়িতে সবি আমার! গুড়্গুড়িটে
এক্লা বারি-সিক্ত-প্রাণে স্নিগ্ধ তাকে গান্ তোলে!
মরি লোকের দেমাক্ হেরে! (ওরে হরে, তামাক্ দেরে!!)
শাঁপ্ দিচ্চি অগ্নি ছুঁয়ে,—বল্বে যারা “ঐ কথা,”
তাদের যেন নাতির নাতি খেপায়, বলে “বুড়ো হাতি।”
আমিও জানি দাদ্ তুল্তে! বল্বে যে যা, সইব তা?
জ্যৈষ্ঠ ১৩১৬।
১০৪