পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্র। বসে থাকবে বাবা ? আমরা দীনহীন—আমাদের অর্থবল নেই, লোকবলও নেই ;-অর্থ থাকিলে কি আজ তোমায় খিনি। চিকিৎসায় হারাতুম ?” ববীন্দ্ৰনাথ আর বলিতে পারলেন না ; সেন কি এক অসহনীয় দুঃখে৷ তঁর কণ্ঠরোধ হইল। ক্ষীণকণ্ঠে অ "রেন্দ্ৰনাথ দলিল,-“বাবা, সংসারে সকলেই কি ধন্যবান ? সংসারে আমাদের মত দুঃখীই অনেক। যদি আমার মৃত্যুই ভগবানের অভিপ্রেত হয়, তাহ’লে চিকিৎসায় কি ফল হবে ? বাবা, যতই চেষ্টা করুন, কিছুতেই বাখতে পার্কেনস্ট । अत যদি তা না হয়, এযাত্ৰা যদি আমার অদষ্ট মৃত্যু না থাকে, কিনাচিকিৎসাতেই আমি আরোগ্য লাভ কৰ্ব্বো ; আপনি উৎকণ্ঠিত হচ্ছেন কেন ?” “কোন উৎকণ্ঠিত হচ্ছি ?—যে পুলের পিতা সেই জানে ; তুমি কি ক’রে জানবে বাবা ? আজ তিন মাস কাল তুমি শয্যাগত আছ ; লোকাভাবে শুধু তোমার সেবাব জন্য আমি চাকরী টুকু ছেড়ে বসে আছি ; পক্ষাধিক কাল আহারনিদ্ৰা ত্যাগ ক’রেছি। এত করে ও যদি তোমায় বাচাতে না পারি, তাহ’লে বুঝবো-সংসারে দরিদ্রের উপর ভগবানের ও করুণা নেই।” রবীন্দ্ৰনাথ অতিকষ্টে উত্তেজনা দমন করিয়া আবার পলিলেন, “বাবা, তুমি যখন নিতান্ত শিশু, তখন তোমার সতীসাধবী জননী বিসূচিকারোগে ইহলোক ত্যাগ করেন ; সেই অবধি তোমাকে নিয়ে, সব কষ্ট ভুলে আছি । আমার অবস্থা। এতদূর হীন ছিল না। আমার আত্মায়েরা আমার মাতাকে ভুলিয়ে ষড়যন্ত্ৰ ক’রে একটা সই ক’রে নিয়ে আমার সমস্ত পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করে নিয়েছে, মাতার স্বৰ্গারোহণের পর আমি আমার প্রকৃত অবস্থা বেশ বুঝতে পারলুম। আত্মায়েরা সকলেই তখন একে একে স’রে দাঁড়ালো। তুমি তখন R