পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোমান্সের ঠিকরে। মিনি আয় আসে না, তখন আমি ও গড়ের মাঠে যাওয়া বন্ধ করিলাম । সুবিধা-মাত মিনিদের বাড়ী যাইয়া তোহার সহিত দেখা করিতাম । বলা বাহুল্য, গৃহ-শিক্ষকদিগকে সন্তুষ্ট রাখিবার জন্য প্ৰাণপণে পরিশ্রম করিতে ত্রুটি করিতাম না । একদিন মিনির কথা ভাবিতে ভাবিতে সহসা আমার মনে প্ৰশ্ন উঠিল,-“আচ্ছা, আমিত রোজই মিনিকে দেখিতে যাই, মিনি ত আর আমাকে দেখিতে আসে না ?” পদার্থদর্শনে পড়িয়াছিলাম 'চুম্বক লোহাকে আকর্ষণ করে” । তাই নিজেই প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া লইলামমিনি চুম্বক, আমি লোহা । এই সিদ্ধান্ত করিয়া মনকে সাস্তুনা দিলাম । তবুও এক একবার মনে হইত, মিনি কি আমাকে আগেকার মত ভালবাসে না ? তা বাসে বৈকি ? নচেৎ আমি তাহদের বাড়া গেলে সে হাসিতে হাসিতে আমার কাছে ছুটিয়া আসিত না । এক্ষণে বলিয়া রাখি, এই কয় বৎসরের মধ্যে আমি এক দার ডবল প্রমোশন পাইয়াছিলাম ; এখন আমি এণ্টান্স ক্লাসে পড়িতেছি। কিন্তু সপ্তমশ্রেণীতে যে লোহাচুম্বকের কথা পড়িয়ছিলাম, এখনও তাহা ভুলি নাই। কারণ সে সময় আমি ইহার উপর দুই ছাত্র লাভ-কবিতা লিখিয়াছিলাম :- ‘লোহার তুলনা আমি, মিনি যে চুম্বক দেখিতে সে মুখশশী হই যে উৎসুক।” কুড়ি টাকা বৃত্তি পাইয়া এণ্টাস পাশ করিলাম। বেশ আমোদে দিন কাটতে লাগিল । হঠাৎ একদিন কলেজ হইতে ফিরিয়া আসিম্বা মিনিদের বাড়ী গোলাম । সেখানে গিয়া শুনিলাম, ২৭শে শ্রাবণ মিনিব বিবাহ ! আমার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল ৷ মিনির সহিত SS ( )