পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অৰ্দ্ধোদয় যোগ । aal West তুলিতেছে। যত দেখি-ফটোখানি ততই সুন্দর বলিয়া মনে হইণ্ডে লাগিল। বলা বাহুল্য, কালকাতায় আসিয়া বামাচরণ বাবুর সন্ধান না। পাওয়ায় খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিবার উদ্দেশ্যে লীলার ফটো তোলাইয়া ছিলাম। ফটোখানি নিবিষ্টমনে দেখিতেছি, এমন সময় বৌদিদি আমার অজ্ঞাতসারে আসিয়াই বলিলেন, “ঠাকুরপো, বলি হচ্ছে কি ? আলোটা জলবারও ফুরসৎ হয়নি? লজ্জায় আমার মুখ দিয়া আর বাক্যস্ফক্তি হইল না ; আমি ফটোখানি লুকাইবার চেষ্টা করিলাম, কিন্তু অসাবধানতা বশতঃ তাহা আমার হাত হইতে পড়িয়া গেল। বৌদিদি তাড়াতাড়ি তাহা তুলিয়া লইয়া দেখিলেন এবং সাহান্তে বলিলেন, “ওঃ ! আমি মনে করি কি কচ্ছে ঠাকুরপো !-ওমা ! আড়ালে এসে ছবি নিয়ে তন্ময় হয়ে পড়েছে! আর ভাবনা কি ঠাকুরপো, শুভকাজ শীঘ্রই হয়ে যাচে। কাল ভোরের ট্রেণে তোমার দাদা বাড়ী গিয়ে সকলকে নিয়ে আসবেন ; শীঘ্রই একটা শুভদিন দেখে শুভকাৰ্য্য সম্পন্ন করা হবে। অন্য যায়গায় হলে কিছু পাওয়া যেতো, এখানে শুধু পান-সুপারী। এখন চল, খাবার দিয়েছি—” বৌদিদির কথা শুনিয়া আরও লজ্জিত হইলাম, কোন কথা বলিতে পারিলাম না । মনে কত কি ভাবিতে ভাবিতে খাইতে বসিলাম । আমি এক খাইতে বসিয়াছিলাম,-অন্যমনস্ক-ভাবে যা পারিলাম খাইয়া উঠিয়া আসিলাম । বলা বাহুল্য, সেদিন আমার সম্মুখে দুধের বাটী ছিল-দেখিতে পাই নাই, দুগ্ধ ফেলিয়া উঠিয়া পড়িয়াছিলাম। বৌদিদি সেজন্য টিটকারী দিতে ভুলেন নাই ;-তদুত্তরে আমি মিথ্যা গুরুভেজনের ওজর করিয়াছিলাম মাত্ৰ ! মাঘমাসের ২২শে লীলার সহিত আমার বিবাহ হইল। এতদিন SOе