পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ara Me".AMayVAs “কেন, আপনারাই তা আসতে লিখেছিলেন।” “ওকথা ব’লোনা ঠাকুরখে ; আমন তোমায় কতবার আসতে বলা হয়েছে। প্ৰথমে ত তোমার সন্ধানই পাওয়া যায় নি; কত খবরের কাগজে ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কিছুই হয় নাই ; তার পর মামাশ্বশুর তোমার সন্ধাম ব’লে দিলেন। কত সাধ্যি-সাধন ক’রে য়্যাদিনের পর তোমার খবর হ’লো। আচ্ছা ঠাকুরপো, তুমি কি রকম লোক ? এই ছ’বছর দেশছাড়া ছিলে, তাকি একটী দিনের তরেও আমাদের জন্য তোমার মন কেমন কর্তে না ? তা আমাদের জন্যে না করুক, আমরা না হয়। পর, ठुड्g|-भा ड अब न'न ?” বৌদিদির কথায় আমার চক্ষে জল আসিল। যে তুচ্ছ অভিমান লইয়া গৃহত্যাগ করিয়াছিলাম, আজ আমার সে অভিমান যেন কোথায় ভাসিয়া গেল। ভাবিলাম, সত্যই আমি কি নিষ্ঠুর! আমি চক্ষু মুছলাম দেখিয়া বৌদিদি বলিলেন,-“কঁাদচো কেন ? ছিঃ-” এমন সময়ে মা আসিলেন ; বৌদিদি মাকে বলিলেন, “মা, দেখ, ঠাকুরপো এসেছে, দু’কথা বলেছি বলে কাদচে, ঠাকুরপো’র এখনও ছেলেমানুষী যায়নি। দেখাচি ।” মা বলিলেন, “ত কঁাদুক, আমাদের এই ছ’ৰছর কঁাদিয়েছে ; এদেশ ওদেশ ক’রে ঘুরে বেড়ালে, একটী দিনের জন্য একটা কাকের মুখেও একটা সংবাদ দেয় নি। আমাদের উপর যার এতটুকু মায়া নেই, তার ” চোখে জল শুধু লোক-দেখানো। সন্তানের জন্য মায়ের দেহের সমস্ত রক্তটুকু জল হয়ে যেমন চোখ দিয়ে বেরোয়, এ তেমনটী নয়,-এতে কৃত্রিমতা আছে। বৌমা, ওর কথা আর ব’লে না, ও এখন মানুষ [४७8