পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরদিষ্ট । VAIVA*VNYr YMWNNW YTMNews-Whig কাৰ্য্যে পরিণত করিয়াছি, যিনি এখােী দিনের জন্য আমাকে না দেখিলে সমস্ত পৃথিবী শূন্য দেখিত্ত্বেকােল আহার নিদ্ৰা ত্যাগ করিতেন, কেবল মাত্র যাহার আদরেই আমার “স্বভাব নূতনভাবে গঠিত হইয়াছে, আজি সেই মেহের আধার জননীর একি আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন । তার সেই স্বভাৰসুলভ কোমলতা, স্নেহ-প্রবণতা আজ কোথায় ? মা! কি আমার উপর ক্রদ্ধ হইয়াছেন ? এরূপ চিন্তা মনােমধ্যে স্থান দিতে যেন বুক্‌ ফাটিয়া যাইতে লাগিল। র্যায় করুণার আবরণে থাকিয়া শৈশবের সেই সুখের দিনগুলি কেমন মধুর আনন্দের সহিত কাটিয়া গিয়াছে, আজি সেই করুণাময়ী মা’র একি আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন । সুদীর্ঘ ছয় বৎসরের পর গৃহে আসিলাম, মা একটাও কথা কহিলেন না। বৌদিদির গুল্কহাসিতে কি যেন একটা করুণ বেদনার ছায়া প্ৰতিভাত ! প্ৰবাস হইতে প্ৰত্যাগমনের সময়ে মনে যে একটা অভিনব আশা ও আনন্দের বীজ অন্ধরিত হইয়াছিল, এখন একটা অজানিত বেদনার উত্তাপে তাহা শুকাইয়া গেল ! যতই এরূপ চিন্তা করিতেছিলাম, ততই প্ৰাণের আকুল বেদনায় আত্মহারা হইয়া পড়িতে লাগিলাম ! একটা বিস্ময় বেদন তন্ময়তার মধ্যেও বৌদিদির কণ্ঠস্বর আমার কর্ণে প্ৰবিষ্ট হইল,-“কনক, ঠাকুরপোকে ডাক, মা কেমন কচ্ছেন ;”—একি, এ আবার কি হইল ? আমি ত্বরিৎপদে মাতার কক্ষের দিকে ছুটিলাম। কক্ষে প্ৰবেশ করিয়া দেখিলাম, মা দুই হন্তে গোপালকে বক্ষের উপর চাপিয়া ধরিয়া ফোপাইয়া ফোপাইয়া কঁাদিতেছেন, আর বৌদিদি মা’র নিকট হইতে গোপালকে ছাড়াইয়া লইবার জন্য বিস্তর চেষ্টা করিতেছেন। আমাকে দেখিয়া বৌদিদি বলিলেন, “ঠাকুরপো, ছেলেটাকে ডাকিনীর solo