পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরুদ্দিষ্ট । ب -حتی مسیر جایی"به ছিনাইয়া লইতে এত ব্যস্ত। হায়ত্ববােধ নারী । তুমিও তা পুত্রের জননী! তুমি এখনও র মৰ্ম্ম বুঝতে পারলে না ? এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে আমার 罵 গেল, যেন সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডটা আমার চক্ষের সম্মুখে ঘুরিতে লাগিল, আমি আর দাড়াইতে পারিলাম না, একটা অস্ফুট চীৎকার করিয়া মেঝের উপর পড়িয়া গেলাম। আমার নিদ্রাভঙ্গ হইল। একি স্বপ্ন ! কোথায় প্রকৃতি দেবীর অঙ্কের একটী নিভৃত শান্তিময়ী পল্লী, আর কোথায় সুদূর পশ্চিমাঞ্চলের পবিত্র তীর্থধাম বারাণসীক্ষেত্ৰ ! আমি আকাশ পাতাল ভাবিতে লাগিলাম। তখন ঘোলাটে কুয়াশার ভিতর দিয়া অল্প অল্প সুৰ্য্যকিরণ আমার কক্ষের মুক্ত বাতায়নপথে প্ৰবিষ্ট হইতেছিল। পাশের ঘর হইতে অবিনাশবাবু বলিয়া উঠিলেন,-“কি হে হরেন, এখনও উঠ নাই বুঝি ! সকালবেলা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা ছিলে না কি ?” র্তাহার প্রশ্নে আমি একটু লজ্জিত হইলাম। কিন্তু স্বপ্নের কথা কিছুতেই ভুলিতে পাৰিলাম না এবং তঁহাকেও বিশেষ কিছু ভাঙ্গিয়া दलिकोंभ ना । নিজের উচ্ছঙ্খলতার জন্য পিতামাতার অজস্র তিরস্কার, অজস্র ধিক্কার আমার মনে যখন কেমন একটা বিদ্রোহভাব জাগাইয়া তুলিতেছিল, তখন একদিন সন্ধ্যার ধূসর কোল আশ্রায় করিয়া গৃহত্যাগ করতঃ সুদূর বারাণসীক্ষেত্রে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। সে আজ ছয় বৎসরের কথা । এই সুদীর্ঘ ছয় বৎসর কাল বাড়ীতে কোন সংবাদাদি প্রেরণ করি নাই । পিতামাতার উপর অযথা অভিমানই ইহার কারণ । মধ্যে মধ্যে সংবাদপত্রে “নিরুদেশ” শীর্ষক বিজ্ঞাপন পাঠে আমার জন্য আমার svole