পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরুদিষ্ট পিতামাতার উত্তপ্ত এখােনক আকুল ক্ৰন্দনের কেমন একটা অস্পষ্ট ছায়া আমার সমস্ত অভিমানকৈ ভা- *ািরয়া কোন দিকে সরাইয়া দিয়া, কোথা হইতে শনৈঃ শনৈঃ মনের কমন একটা ব্যাকুলতাব সৃষ্টি করিতেছিল। শুভক্ষণে অবিনাশবাবুর সুনজরে পড়িয়াছিলাম বলিয়া, এই ছয় বৎসর কাল তাহার বাটাতেই আছি। তিনি অনুগ্রক করিয়া রেলের আফিসে ত্ৰিশ টাকা বেতনে একটী চাকরী করিয়া দিয়াছেন। অবিনাশবাবুর পত্নী করুণাময়ী আমাকে সন্তানের অধিক স্নেহ করেন। র্তাহার পুত্র মনীন্দ্ৰকে আমি পড়াই। দিনগুলি বেশ এক রকম কাটিয়া যাইতে ছিল। হঠাৎ গতরাত্রের ভাষণ দুঃস্বপ্নে আমার মন বড়ই বিচলিত হইয়া উঠিল । এক্ষণে বলিয়া রাখি, অবিনাশবাবুকে আমার সম্পূর্ণ পরিচয় দিলেও কয়েকটী বিষয় গোপন করিয়াছিলাম। আজ কয়েক দিন হইতে আমার মনের অবস্থা ক্রমশঃ মন্দ হইতেছিল। সৰ্ব্বদাই যেন কেমন অন্যমনস্ক থাকি,তাম,-থাকিয়া থাকিয়া কোথা হইতে এক অজানা দুঃখের ঝড় বহিয়া আমার প্রাণকে আকুল করিয়া তুলিত । সে দিন অফিসে গেলাম বটে, কাজকৰ্ম্ম কিছুই করিতে পারিলাম না। পাচটার সময় ফিরিলাম। বাড়ী পৌছিতেই অবিনাশবাবুর পত্নী জিজ্ঞাসা করিলেন-“হিরেন, তোমার কি হয়েছে ? সমস্ত দিন কান্দলে যেমন চোখ। করমচার মত লাল হয়, তোমারও ঠিক তেমনি হয়েছে ; কেন ৰল দেখি ?” ধূলা লাগিয়া আমার চক্ষু উঠিবার উপক্রম হইয়াছে, এইরূপ দু” একটী মিথ্যা বলিয়া আমি তাড়াতাড়ি বহির্বাটীতে আসিয়া মনীন্দ্ৰকে

১৩৯ ]