পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্র। শঠ, এত কদাচারী লোক যে তীর্থে বাস করে, এরূপ কল্পনা আমার মনে কখনও স্থান পেত’না । এতদিনে আমার সে ভ্ৰম ভেঙ্গে গেছে। মা, তীর্থভ্রমণে আমার আর স্মৃহ নেই,-ব’লে দিন, তীৰ্থস্থান ভিন্ন অন্যস্থানে কি প্ৰকৃত শিক্ষা লাভ হয় না ?” “সন্ন্যাসি! তীর্থক্ষেত্র যদি পুণ্যক্ষেত্র না। তবে, তবে সকলে তীর্থ দর্শনের জন্য ব্যগ্ৰ হয় কেন ?” 텍 “আমার বোধ হয় সেটা লোকের ভুল।” “সন্ন্যাসি। ভুল তোমারই । যেমন অন্ধকার না হলে আলোকের সত্তা অনুভূত হয় না, যেমন দুঃখ না হলে সুখের অস্তিত্ব বুঝা যায় না, যেমন যন্ত্রণা না হলে শাস্তির অভাব অনুমিত হয় না, যেমন কুরূপ না হলে সুরূপের মাধুৰ্য্য উপলব্ধি করা যায় না, তেমনি পাপ না হ’লে পুণ্যের অস্তিত্ব কেমন করে বুঝতে পার্বে, সন্ন্যাসি ? বিপরীত-সম্বন্ধবিশিষ্ট দুইটী বস্তু সংসারের সর্বত্রই পাশাপাশি রক্ষিত। কক্ষমধ্যস্থ দীপাধারে প্রজ্বলিত দীপের দিকে দৃষ্টিপাত করা-দেখিতে পাইবে, দীপালোকে সমুদয় কক্ষটা আলোকিত, কিন্তু দীপাধারের নিম্নভাগে অন্ধকার ;-ইহাতেই বিষয়টীি আরও স্পষ্ট বুঝতে পার্বে ! মনে ক’রোনা তীর্থক্ষেত্রে পুণ্যাত্মা লোকের অভাব। অনুসন্ধান কর-সাক্ষাৎ পাবে। নিবিড় অরণ্যে পলাশকুসুম প্রস্ফুটিত হয় বলিয়া মনে করিও না-সেখানে মধুর সৌরভপূর্ণ প্ৰস্থান প্রস্ফুটিত হয় না। ধৈৰ্য্য-সহকারে অনুসন্ধান কর—আশা পূর্ণ হবে। আর একটি কথা, জীবনে কখনও নিজের লক্ষ্য হারিও না—একবার লক্ষ্যভ্ৰষ্ট হলে কৰ্ত্তব্য-পথ হতে অনেক দূর পেছিয়ে পড়বে। সাবধান!” so