পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্ৰ । বন্ধুর সহিত একবার সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন ; তদবধি অদ্যপি ববী ন্দ্রের কোন ও সংসাদ না পাওয়ায় তার বন্ধ মনে মনে ষ্টির করিয়াছিলেন যে, রবীন্দ্ৰনাথ আর ঠাঁহ ধামে নাই। সুদীর্ঘ দ্বাদশবর্ষ পরে আজ নীরব নিশাথ রাত্ৰে সন্ন্যাসিবেশে রবীন্দ্ৰ আপনার বাল্যপন্ধর বাড়াতে পদাপর্ণ কারলেন। সদর দেউড়াতে পৌঁছিয়া রবীন্দ্ৰ দেখিলেন —দার রুদ্ধ ; দ্বারে কারণ ত করিয়া বারম্বার চীৎকার করায় ভিতর হইতে “বাজখাই” আওয়াজে উত্তর আসি&M-“কোন 81ጃ ?” রবীন্দ্ৰ বলিলেন—“আমি।” *হামি কোন হ্যায়, বেকুব?” “আমি রবীন্দ্র -- দরজা খোল ।” “কেয় ?” “আমি রবীন্দ্ৰ-দরজা খোল ।” “তুমারা ঘর কাহা ।” ** অ[মায় জাননা বাবা, আমি স্টেমেন্দের বন্ধ।” দরজা উন্মুক্ত হইল এবং সঙ্গে সঙ্গে পাগড়া মাথায় -মোটা বংশের লাঠি হন্তে এক ভোজপুরী পালোয়ানের আবির্ভাব হইল। পালোয়ান সম্মুখে সন্নাসিমুত্তি দেখিয়া একবার ক্ৰোধে অগ্নিশম্মা ;-পাজ গাঙ্গ আওয়াজ আরও চড়াইয়া বলিল,-“কেয়া শালা চোটা, এই দাগবাজী করুনে আয় ?” ভোজপুরার বাক্য শেষ হইতে না হইতে রবীন্দ্রনাথের মস্তকে সজোবে এক লাঠির আঘাত পড়িল। রবীন্দ্র “মা”। বলিয়৷ ভূতলে পতিত হইয়া ংজ্ঞা হারাইলেন । δά