পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- A -1 r - raw-ya শিশু! যুবতীকে দেখিলে মন যেন কি এক অভূতপূৰ্ব ভক্তিরসে আধুতি । হয়। হেমেন্দ্ৰ বলিলেন, “অনুপমা-পারবে ?” “পারি না পারি।-চেষ্টা কৰ্ত্তে দোষ কি দাদা ? নারী হয়ে জন্মেছি দ’লে কি জগতের কোন কাজ করবার অধিকার নেই ? দাদা, গুরুদেব বলেছেন, রমণীমাত্রেই সেই আদ্যশক্তি মহামায়ার অংশ এবং জননীস্বরূপা । মানুষমাত্ৰেই নারীর সন্তান। মা হ’য়ে কি ਰe मूढाप्नब দুঃখে স্থির থাকতে পারে ? দাদা, আপনি জ্ঞানী ; আপনিই বলুন দেখি এ অবস্তায় আপনার কৰ্ত্তব্য কি ?” “তইতো অনুপমা, বলচে বটে, কিন্তু-” “কিন্তু নারী- এই না ? তাতে ভাবনার বিষয় কি আছে দাদা ? গুরুদেবের কৃপায় আমি আমার কৰ্ত্তব্য পথ চিনে নিতে পেরেছি। যখন তঁর কৃপায় পথ চিনতে পেরেছি, তখন তঁরই কৃপায় সেই পথে অগ্রসর হব, কেউ বাধা দিতে পার্বে না । দাদা, আমার জন্য কোন চিন্তা কৰ্বেন না ।” “অনুপমা, তোমায় আমি এতদিন চিন্তে পারিনি। আর আমি তোমার কাৰ্য্যে বাধা দেব না। তুমি যা” ভাল বোঝ, কর”। রবীন্দ্রনাথ। এতক্ষণ অনুপমার মুখের দিকে অনিমিষনেত্ৰে চাহিয়াছিলেন। হেমেন্দ্রনাথের কথা শেষ হইতে না হইতে বলিয়া উঠিলেন,- “মা ভৈরবী, সত্যই বলেছি, আমার শিক্ষার এখনও অনেক বাকী। আর * এ কথাও সত্য,-শিক্ষা অরণ্যে হয় না, শিক্ষাস্থল সংসার। দিদি, ধন্য তোমার একাগ্ৰতা, ধন্য তোমার গুরুভক্তি । তুমি চেষ্টা কল্পে যে এই দুটী অবলাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে, তাতে আর কোন সন্দেহ নেই!” R D