পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xerxerxerxerx/w/rm/Nov/www. No Nu চেষ্টা করিতে লাগিলেন। রবীন্দ্ৰনাথ দশ বৎসরের অতীত ঘটনা আনুপূর্বিক বিবৃত করিলেন। এইবার স্বপ্নের কথা। রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “দিদি, আজ স্বপ্নে দেখলুম, আরার সেই ভৈরবীমূৰ্ত্তি। সেই আলুলায়িতকেশা গৈরিকবসনা যেন ধীরে ধীরে আমার শিয়রে আসিয়া দাড়াইলেন, এবং বলিলেন-‘নবীন সন্ন্যাসি, এখনও নিশ্চিন্ত হয়ে শান্তি উপভোগ ক’ভেচ্ছা ? চক্ষের সম্মুখে অনন্ত কৰ্ত্তব্য বর্তমান থাকতে এমন ধীর স্থির জতুপিণ্ডবৎ অবস্থান ক’চ্ছে ? শিক্ষালাভ কৰ্ত্তে সংসারক্ষেত্রে ফিরে এসেছি ; কেবলমাত্র পরিদর্শনে তোমার উদ্দেশ্য সাধিত হবে না, কৰ্ম্মী হয়ে কৰ্ম্ম কৰ্ত্তে হবে। সামান্য বাধাবিয়ে বিচলিত হ’য়ে না-পূর্বে তোমায় সে কথা বলেছি। কৰ্ত্তব্যপথ বন্ধুর হলেও অগ্রসর হতে হবে । সত্য ধৰ্ম্মপথে প্ৰাণ উৎসর্গ কৰ্ত্তেও কুষ্ঠিত হ’য়ে না। ধাৰ্ম্মিকের স্বেচ্ছায় উৎসর্গীকৃত প্ৰাণ কখনও পাপীর পাপকাৰ্য্যের সহায়তা করবার হেতু হয় না, বরং তা’কে পাপপথ হ’তে প্ৰতিনিবৃত্ত করে। স্বাৰ্থশূন্য হৃদয়ে পরোপকার কর,-ত’তে যে আনন্দ পাবে, সেই বিমল আনন্যই সাধনার পথের প্রথম আনন্দসোপান । নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাড়াতে চেষ্টা করা,-সাধ্যমত অপরের সাহায্য গ্ৰহণ করিও না । অন্যের সাহায্য গ্ৰহণ করিলে নিজের মনের দৃঢ়তার হ্রাস হ’য়ে যাবে। কোন বিষয়ে পরপ্রত্যাশী হ’য়ে না | সত্যপথে আত্মনির্ভর করিলে দৈব-অনুকম্পা লাভ হয়। সুখের আশা ক’র না, দুঃখের অনুসন্ধান কর।” এই কথা বলিয়া ভৈরবী আবার কি বলিতে যাইতেছিলেন ; কিন্তু দিদি তুমি তখনই আমায় জাগাইলে, ভৈরবীর অসমাপ্ত বাক্য আর শোনা হইল না ।” অনুপা বলিলেন, “দাদা, ভৈরবীকথিত বাক্যের প্রত্যেকটাই জ্ঞান २१ ]