পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পস্বল্প জানি ; মামার কাছে শিখেছিলাম। এতে লেখা আছে"মুসীবৎ ইয়া মেহেরবাণী’।” সহসা বহির্দেশে ঝনাৎ করিয়া একটা শব্দ হওয়ায় রমণী কক্ষদ্বার পুর্ববৎ রুদ্ধ করিয়া প্ৰস্থান করিলেন। So “আমি স্বচক্ষে দেখেছি সে পুরুষ।” আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছি, সম্রাট-নন্দিনীর কামরায় যিনি গিয়েছিলেন তিনি স্ত্রীলোক ৷” আবদুল স্বহস্তে তার নিকট হ’তে পত্র নিয়ে গিয়েছিল। সে বললে পুরুষ। তার তখনই সন্দেহ হয়েছিল; আপনার হুকুমনাম দেখে কিছু বলতে পারেনি।” “আমি স্ত্রীলোককেই হুকুমনামা দিয়েছি, আর স্বচক্ষে দেখেছি তিনি স্ত্রীলোক। বজরার একটী কামরায় দুইব্যক্তি এইরূপ তর্ক-বিতর্ক করিতেছিলেন । প্ৰথম ব্যক্তি সেনানায়ক মহম্মদ মির্জা এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি কুমার জগৎসিংহ। অনুপমা যখন পুরুষবেশে বজরায় প্ৰবেশ করেন তখন মহম্মদ মিৰ্জা তাহাকে দেখিয়াছিলেন; তাই তিনি এরূপ ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন। উভয়ের মধ্যে কেহই দেখিতে ভুল করেন নাই। এক্ষণে এরূপ তর্কের মীমাংসা কে করিবে ? সেনানায়ক মহম্মদ মির্জার মনে দারুণ সন্দেহ জন্মিয়াছে। এরূপ সন্দেহের একটু কারণও আছে। কারণমহম্মদ সম্রাটুনন্দিনী মেহেরউন্নিসাকে ভালবাসেন। যেখানে ভালবাসা, সেইখানেই সন্দেহ। এক্ষণে মহম্মদের একটু পূৰ্ব্ব-পরিচয় দেওয়া আবশ্যক। an