পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্ৰ । SELLSLLLLLLSS M LSLAT TSLL LLLLSLLLM S eSkeLMeLe LLLSLLLLLL SLLLTLLL LLLSeeSkSkLeSAS বহুব্রত্নখচিত সিংহাসনের দুই পার্শ্বে দুইটী সুবৃহৎ ঝাড় । মেজেটী বহুমূল্য কার্পেটে মোড়া। সিংহাসনের দক্ষিণ ও বাম উভয় পার্শ্বে সারি সারি অনেকগুলি মূল্যবান মখমল-মোড়া কাষ্ঠাসন। উপরে মণিমুক্তার ৰালির সম্বলিত সুবিস্তীর্ণ চন্দ্ৰাতপ । উচ্চ ও নিম্নপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীগণ স্ব স্ব নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইয়াছেন । বিশিষ্ট ও সাধারণ প্ৰজামণ্ডলীতে দরবার-গৃহের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। সিংহাসনের দক্ষিণপার্শ্ব সুন্দর সুচিত্রিত পর্দাদ্বারা আচ্ছাদিত ; সেই স্থান অন্তঃপুরস্থ মহিলাগণের জন্য নির্দিষ্ট রহিয়াছে। যথাসময়ে সম্রাট আকবরসহ আসিয়া সিংহাসনে উপবিষ্ট হইলেন । সমবেত জনসজেঘর সকলেরই মনে দারুণ উৎকণ্ঠ। সৈনিক বিভাগের ছোট বড় প্ৰত্যেকেরই মনে বড়ই ঔৎসুক্য জন্মিয়াছে। এরূপ ঔৎসুক্য দাসু্য-সর্দারের দণ্ডাজ্ঞা শুনিবার জন্য নহে, কেবল মাত্র কুমার জগৎ সিংহ ও মহম্মদকে সাহানসা বাদসহ কিরূপ পুরস্কারে সম্মানিত করেন তাহাই জানিবার জন্য সকলে ব্যগ্ৰ । যিনি পাঁচশত সৈন্যের অধিনায়ক, তিনি ভাবিতেছেন যদি মহম্মদের পবিবর্তে তিনিই কুমার জগৎসিংহের সহকারীরূপে যাইতে পারিতেন, তাহা হইলে আজ সম্রাটের অনুগ্ৰহে তঁাহারও নিশ্চয়ই পদবৃদ্ধি হইত। ছোট বড় সকলেই এরূপ কত কল্পনা করিয়া মনে মনে আক্ষেপ করিতেছেন। মহম্মদের হৃদয় আজ আনন্দে উৎফুল্ল । আপন মনে কত ভাঙ্গিতেছেন-কত গড়িতেছেন। এক একবার ভাবিতেছেন, আজ তিনি মহানুভব সম্রাট আকবর সাহের নিকট তাহার চির-আকাক্তিক্ষত ধন পুরস্কারস্বরূপ ভিক্ষা করিবেন। ; কিন্তু তাহার ন্যায় একজন সামান্য সেনানায়কের যে এরূপ আশা বাতুলতা ho