এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চরাত্র
কি রাজ্য তাদের দান করা হচ্ছে, না তারা জোর ক’রে রাজ্যটা কেড়ে নিচ্ছে?
সকলে। না, না, জোর ক’রে নেবে কেন! এ কি কথা!
ভীষ্ম। পৌত্র দুর্য্যোধন, তুমি এখন যজ্ঞশেষে স্নান করেছ এটা যেন মনে থাকে।[১] সুতরাং যার মুখের কথাটি মাত্র মিত্রের কথার ন্যায়[২] এই রকম শকুনির কথা এখন তোমার শোনা উচিত নয়। পৌত্র ভেবে দেখ—
দ্রৌপদীর সঙ্গে পাণ্ডবেরা যে দুর্গম বনে ধূলিধূসরিত পদে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তুমি যে তাদের প্রতি বিমুখ, এবং তারাও যে তোমার প্রতি বাম—এই সকলের একমাত্র কারণ শকুনির অসহনীয় অহঙ্কার।
দুর্য্যো। বেশ, আচার্য্য, ধ’রে নিলুম এ কথা ঠিক। আচ্ছা, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি।
দ্রোণ। পুত্র, স্বচ্ছন্দে বল।
দুর্য্যো। আচ্ছা পূর্ব্বে যে সভার মধ্যে তাদের অপমান করা হ’য়েছে বলছেন এবং রাজ্য সম্বন্ধে তাদের উপর
১৯