শকুনি। এই যে, এসেছি।
দ্রোণ। বৎস, জীবনে যথেষ্ট ক্রোধ প্রকাশ করেছ। এখন দিন ত প্রায় শেষ হ’য়ে এসেছে। ব্রাহ্মণের চপলতা থাকেই, কিছু মনে করো না। কোলাকুলি করলেই রুক্ষ কথার দোষ শান্তি হয়।
ভীষ্ম। (স্বগত) শিষ্যের স্নেহের বশবর্ত্তী হয়ে গুরু দ্রোণ শকুনিকেও অনুনয় কচ্ছেন। কিন্তু শকুনিকে শান্ত কত্তে চেষ্টা কল্লেও সে কুটিলতা ছাড়বে না।
শকুনি। (স্বগত) হাঁ, আচার্য্যও শঠ কম নয় কার্য্যসিদ্ধির জন্য আমাকে শান্ত কত্তে চেষ্টা কচ্ছেন
দুর্য্যো। পাণ্ডবদের রাজ্যের অর্দ্ধেক দেওয়া সম্বন্ধে আপনার কি মত।
শকুনি। আমার মত না দেওয়া।
দুর্য্যো। মাতুল, ‘দেওয়াই’ কর্ত্তব্য এ কথাই আপনার বলা উচিত।
শকুনি। যদি রাজ্য দেওয়াই তোমার অভিপ্রায় তা’হ’লে আমাদের সঙ্গে আবার পরামর্শ কেন? সবটাই দিয়ে দাও—অর্দ্ধেক আর কেন?
দুর্য্যো। বয়স্য অঙ্গরাজ, তুমি ত কিছু বলছ না।
কর্ণ। এখন আমার কি বলবার আছে।