পাতা:পঞ্চরাত্র - গুরুবন্ধু ভট্টাচার্য্য.pdf/৫২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চরাত্র

 অভি। ইনি আবার কে?

 হস্তিনীর রূপ যেমন গজের শরীরে শোভা পায় না, রমণীর রূপও তেমন ইহার শরীরে শোভা পাচ্ছে না। ইহার পরাক্রম মহান, কিন্তু বেশ হীন, সুতরাং ইহাকে উমারূপধারী মহেশ্বরের মত দেখাচ্ছে।

 বৃহ। (জনান্তিকে) আর্য্য ভীম অভিমন্যুকে এখানে এনে বড় অন্যায় করেছেন।

 পরাজিত হয়েছে বলে অভিমন্যুর মনে একটা গ্লানি আসবে। স্বামী-পুত্র-বিহীনা সুভদ্রা শোকার্ত্তা হবেন। অভিমন্যু পরাজিত হয়েছে মনে করে কৃষ্ণও রুষ্ট হবেন। কি আর বলব, এই কার্য্যে বাহুবল দূষিত হ’য়েছে।

 ভীম। অর্জ্জুন!

 বৃহ। হাঁ-হাঁ—অর্জ্জুন-পুত্রই বটে।

 ভীম। (জনান্তিকে)

 অভিমন্যুর নিগ্রহে যে এ সকল দোষ ঘটেছে তা আমি বুঝেছি। বিশেষতঃ শত্রু-হস্তে পুত্রের পরাজয় কেহই আকাঙ্ক্ষা করে না। কিন্তু দ্রৌপদী অভিমন্যুকে না দেখে দারুণ দুঃখ ভোগ কচ্ছিল। এজন্যই অভিমন্যুকে ধরে এনেছি।

 বৃহ। (জনান্তিকে) আর্য্য, অভিমন্যুর সঙ্গে কথা

৫২