প্রথম। তুমি বেশ বলেছ—
শুষ্ক দর্ভ আশ্রয় ক’রে অগ্নি যজ্ঞের জন্য ব্যবহৃত দুর্য্যোধনের এই ক্ষুদ্র শকটটি দগ্ধ কত্তে উদ্যত হয়েছে, কিন্তু নূতন তৃণে ঢাকা রয়েছে বলে থেকে থেকে খর্ব্ব হয়ে যাচ্ছে। ঐ দেখ, বায়ু-তাড়িত হয়ে শিখাবিস্তার পূর্ব্বক ক্রমশঃ শকটের চক্র পর্য্যন্ত এসে পৌঁছেছে। ঐ যে, দেখতে দেখতে, নেমীতে আগুন ধরে গেল, এবং মণ্ডলাকার অগ্নিরাশি সূর্য্যের ন্যায় গোলাকার হয়ে উঠল।
দ্বিতীয়। আর একটা ব্যাপার দেখ—
অগ্নিতাপে ভীত হ’য়ে বল্মীকমূলের কোটর থেকে এক সময়েই পাঁচটা সাপ মৃত ব্যক্তির দেহ হতে পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের ন্যায় বেরিয়ে গেল।
তৃতীয়। আবার এ দিকে চেয়ে দেখ—
বায়ুসহায় যজ্ঞাগ্নি-দগ্ধ গাছটার কোটর থেকে পাখীগুলি উড়ে গেল, বোধ হ’ল যেন ইহার শরীরের ভিতর থেকে প্রাণ বেরিয়ে গেল।
প্রথম। তোমাদের কথা যথার্থ বটে। আমার কিন্তু বোধ হচ্ছে দূষিত-চরিত্র একটা লোকের দোষে যেমন সমস্ত বংশ নষ্ট হয়, তেমনি একটা মাত্র শুষ্ক বৃক্ষের জন্যও পুষ্পিত-পাদপ সমগ্র উপবন দগ্ধ হয়।