পাতা:পঞ্চ-প্রদীপ - সুবোধচন্দ্র মজুমদার.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চ-প্ৰদীপ৷ এই সময়ে এক দিন পার্শ্ববত্তী আবাদের এক হিন্দুর গরু আসিয়া ইব্রাহিমের শস্য নষ্ট করিয়া গেল, প্রথম দুই একদিন ইব্রাহিম তাহাকে সাবধান করিয়া দিল—তার পর ঝগড়া করিল, তাহার পর গরু “চালান’ দিল । তার পর ইব্রাহিম ইচ্ছা! করিয়া শস্য নষ্ট করিয়া দেয় বলিয়া হিন্দু প্ৰতিবেশীর নামে আদালতে নালিশ করিল। এই উপলক্ষে সে সকলের বিরক্তিভাজন হইল-কিন্তু তখন তার জেদ চড়িয়া গিয়াছে। দুই একবার প্রতিবেশীদের জরিমান হইল-তাব পর যখন সকলে একজোট হইল, তখন সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে সে প্ৰত্যেক মোকদ্দমাতেই হারিতে লাগিল । এমনি করিয়া এক বৎসরের মধ্যে তাহার আবাদে থাকাই দুঃসাধ্য হইয়া উঠিল । এক দিন এক জন ধানের মহাজনের নিকট ইব্রাহিম তার দুঃখের কাহিনী বলতেছিল। মহাজনের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলায় । সে কথায় কথায় বলিল,-“বাংলাদেশের লোক বড় কুনো, দেশের বাহিরে ত যাইতে চায় না— দেশে জমীর এত টানাটানি। সেখানেই সকলে সেই অল্প জমী লইয়া মৃারামারি কাটাকাটি করিবে, তবু অন্য দেশে যাইবে না।” বলিয়। সে চট্টগ্রামের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের জমীর উর্বরতার বিস্তারিত বর্ণনা করিয়া বলিল—“সেখানে জমীর কি অন্ত আছে ? কত জমী চাও তুমি ? ক্রোশের পর ক্রোশ কেবলই চাষের উপযোগী উৎকৃষ্ট জমী, কেবল চাষার অভাব। জমীর মূল্য ত নামমাত্র, আর খাজনাও নাই, মধ্যে মধ্যে কুকী Գ@