পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o 3 ab* o পণ্ডিতমশাই, শোচনীয় মৃত্যু চোখে দেখিয়া সহ করা মানুষের সাধ্য নহে । বৃন্দাবনও পারিল না। তথাপি নিজেকে সোজা রাখবার জন্য একবার প্রাণপণবলে চৌকাঠ চাপিয়া ধরি, কিন্তু পরক্ষণেই সংজ্ঞা হারাইয়া জননীর পায়ের কাছে গড়াইয়া পড়িল । তাহাকে ধরাধরি করিয়া ঘরে আন হইল ; মিনিট-কুড়ি পরে সচেতন হইয়া দেখিল, মুখের কাছে বসিয়া চরণ কঁদিতেছে। বৃন্দাবন উঠিয়া বসিল, এবং ছেলের হাত ধরিয়া মৃতকল্প জননীর পদপ্রান্তে আসিয়া নি:শব্দে উপবেশন করিল। যে লোকটা ডাক্তার ডাকিতে গিয়াছিল, ফিরিয়া আসিয়া বলিল, তিনি নেই। কোথায় গেছেন, এ বেলা ফিরবেন না । মায়ের সম্পূর্ণ কণ্ঠরোধ হইয়াছিল, কিন্তু জ্ঞান ছিল, পুত্র ও পৌত্রকে কাছে পাইয়া তাহার জ্যোন্তিঃহীন দুই চক্ষের প্রান্ত বাহিয়া তপ্ত অশ্রু ঝরিয়া পড়িল, ওষ্ঠাধর বারংবার কঁপাইয়া দাসদাসী প্রভৃতি সকলকেই আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, তাহ কাহারো কীনে গেল না বটে, কিন্তু সকলেরই হৃদয়ে পৌছিল । তখন তুলসী-কাঞ্চমূলে শয্যা পাতিয়া তাহাকে শোয়ান হইল, কতক্ষণ, গাছের পান চাহিয়া রছিলেন, তার পর মলিন শ্রান্ত চক্ষু দুটি সংসারের, শেষ নিদ্রায় ধীরে ধীরে মুদ্রিত হইয়া গেল। অতঃপর এই ছয়টা দিন-রাত বৃন্দাবনের কাটিল শুধু এই জন্য যে তাহ ভগবানের হাতে। তাহার-নিজের হাতে থাকিলে কাটিত না । কিন্তু চরণ আর পেলাও করে না, কথাও কহে না । বৃন্দাবন তাহাকে কত রকমের মূল্যবান লেনা কিনিয়া দিয়াছিল—নানাবিধ লের গাড়ী, জাহাজ, ছবি-দেওয়া পশুপক্ষী—যে সমস্ত লইয়া ইতিপূ ধ্ব সে নিয়তই ব্যস্ত থুকিত, এখন তjছ। ঘরের কোণে পড়িয়া থাকে, সে হাত দিতে s চাষ্ট্রে না ।

  • .