পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ - X భీఫి সে বিপদের দিনে এই শিশুর প্রতি লক্ষ্য করিবার কথাও কাহারে মনে হয় নাই। তাহার ঠাকুরমাকে যখন চাদর-চাপা দিয়া থাটে তুলিয়া বিকট হরিধ্বনি দিয়া লইয়া যায়, তখন সে তাছাইপাশে দাড়াইয় ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়াছিল। T কেন ঠাকুরমা তাহাকে সঙ্গে লইলেন না, কেন গরুর গাড়ীর বদলে মামুযের কাধে অমন করিয়া মুড়িগুড়ি দিয়া নি:শবে চলিয়া গেলেন, কেন । ফিরিয়া আসিতেছেন না, কেন বাবা এত কঁাদেন, ইহাই সে যখন তখন ' আপন মনে চিন্তা করে । তাহার এই হতাশ বিহবল বিষণ্ণ মূৰ্ত্তি সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করিল, করিল না শুধু তাহার পিতার। মায়ের আকস্মিক মৃত্যুবৃন্দাবনকে এখন আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল যে, কোন দিকে মনোযোগ করিবার, বুদ্ধিপূৰ্ব্বক চাহিয়া দেখিবার বা চিন্তা করিবার শক্তি তাহার মধ্যেই ছিল না। তাছার উদাস উদ্ৰান্ত দৃষ্টির সম্মুখে যাহাই আসিত, তাছাই ভাসিয়া যাইত, স্থির হইতে পাইত না । . এ কয়দিন প্রত্যহ সন্ধ্যার সময় তাহার শিক্ষক দুর্গাদাসবাবু আসিয়া সিতেন, কত রকম করিয়া বুঝাইতেন, বৃন্দাবন চুপ করিয়া শুনিত বটে, /কিন্তু অস্তরের মধ্যে কিছু গ্রহণ করিতে পারিত না। কারণ এই একটা ভাব,তাহাকে স্থায়িন্ধপে গ্রাল করিয়া ফলিখছিল যে, অকস্মাৎ আকুল সমুদ্রের মাঝখানে তাহার জাহাজের তলা ফাসিস্থা গিয়াছে, হাজার চেষ্টা করিলেও এ ভয়পোত কিছুতেই বন্দরে পাছিবে না। শেষ পরিণতি যাহার সমুদ্রগর্ভে, তাহার জন্ত হাপাইয়া মরিয়া লাঠুকি ! এমন ন হইলে তাহার অমন স্ত্রী জীবনের স্বর্য্যোদয়েই চরণকে রাখিয়া অপস্থত হইত না, এমন অসমীয় কুসুমেরও হয় ত দয়া হইত, এত নিষ্ঠুর হইয়া চরণকে পরিত্যাগ করিতে পারিত না । এবং সকলের উপর তাহরি মা । এমন