পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Συ পণ্ডিতমশাই ঘর, আবখ্যক হ’লে ডেকে। আর একটা কথা ভাই, শেষ হ’বার আগে । খবর দিয়ে, আর একবার যেন দেখতে পাই, বলিয়া ঘর হইতে চলিয়া গেল । বৃন্দাবন যখন ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করিল, তখন ঘরের আলো স্নান হইয়াছে। ডান দিকে চাহিয়া দেখিল, ঐখানে বসিয়া মা জপ করিতেন। হঠাৎ সে দিনের কথা মনে পড়িয়া গেল। যে দিন তাহারা কুঞ্জনাথের ঘরে নিমন্ত্রণ রাখিতে গিয়াছিল, মা যে দিন কুসুমকে বালা পরাইয়া দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়া আসিয়া ঐথানে চরণকে লইয়া বসিয়াছিলেন ; আর সে আনন্দোন্মত্ত হৃদয়ের অসীম কৃতজ্ঞতা ঠাকুরের পায়ে নিবেদন করিয়া দিতে চুপি চুপি প্রবেশ করিয়াছিল। আর আজ, কি নিবেদন করিতে সে ঘরে ঢুকিয়াছে ? বৃন্দাবন লুটাইয়া পড়িয়া বলিল, পাশের ঘরেই আমার ਾਂ মরিতেছে। ভগবান, আমি সে নালিশ জানাতে আসি নি, কিন্তু পিতৃস্নেহ যদি তুমিই দিয়াছ, তবে বাপের চোখের উপর, বিনা চিকিৎসায়, এমন নিষ্ঠুরভাবে তাহার একমাত্র সস্তানকে হত্যা করিলে কেন ? পিতৃহৃদয়ে এতটুকু সাত্বনার পথ খুলিয় রাখিলে না কি জন্য ? তাছার স্মরণ হইল, বহু লোকের বহুবার কথিত সেই বহু পুরাতন কথাটা-সমস্তই মঙ্গলের । নিমিত্ত। সে মনে মনে বলিল, যাহার তোমাকে বিশ্বাস করে না তাহদের কথা তাহারাই জানে, কিন্তু আমি ত নিশ্চয় জানি, তোমার ইচ্ছা ব্যতীত, গাছের একটি শুষ্ক পাতাও মাটীতে পড়ে না , তাই আজি এই প্রার্থনা শুধু করি জগদীশ্বর, বুঝাইয় দাও, কি মঙ্গল ইচ্ছার মধ্যে লুকাইয়া রাথিয়াছ ? আমার এই অতি ক্ষুদ্র এক ফোটা চরা' ! মৃত্যুত সংসারে কাহার কি উপকার সাধিত হইবে ? যদিও সে (ত, জগতের সমস্ত ঘটনাই মানবের বুদ্ধির আয়ত্ত নহে, তথাপি এই কথাটার উপর সে সমস্ত চিত্ত প্রাণপণে একাগ্র করিয়া পড়িয়া রহিল, কেন চরণ জন্মিল, { &