পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ » »ፃ কেনই বা এত বড় হইল এবং কেনই বা তাকে একটি কায করিবারও শূকর না দিয়া ডাকিয় লওয়া হইল ! . কিছুক্ষণ পরে পুরোহিত রাত্রির কর্তৃঝ সম্পন্ন করিতে ঘরে ঢুকিলেন। র্তাহার পদশব্দে ধ্যান ভাঙিয়া যখন বৃন্দাবন উঠিয়া গেল, তখন তাহার উদাম ঝঞ্জা শাস্ত হইয়াছে। গগনে আলোর আভাস তখনো ফুটিয়া উঠে নাই বটে, কিন্তু মেঘ-মুক্ত নিৰ্ম্মল স্বচ্ছ আকাশের তলে ভবিষ্যৎ জীবনের অস্পষ্ট পথের রেখা চিনিতে পারিতেছিল। বাহিরে আসিয়া সে প্রাঙ্গণের একধারে দ্বারের অন্তরালে একটি মলিন স্ত্রী-মূৰ্ত্তি দেখিয়া কিছু বিস্মিত হইল । কে ওখানে অমন আঁধারে-আড়ালে বসিয়া আছে ! বৃন্দাবন কাছে সরিয়া আসিয়া এক মুহূৰ্ত্ত ঠাহর করিয়াই চিনিতে পারিল, সে কুসুম। তাহার জিহবাগ্রে ছুটিয়া আসিল, কুসুম, আমার সোল আন সুখ দেখিতে আসিলে কি ? কিন্তু বলিল না। এইমাত্র সে নাকি তাহার চরণের শিশু-আত্মার মঙ্গলোদেশে নিজের সমস্ত সুখ-দু:খ, মান-অভিমান বিসর্জন দিয়া ক্ষধিয়াছিল, তাই, হীন প্রতিহিংসা সাধিয়া মৃত্যুশয্যাশায়ী সন্তানের অকল্যাণ করিতে ইচ্ছা করিল না ; বরং করুণ কণ্ঠে বলিল, আর একটু আগে এলে চরণের বড় সাধ পূর্ণ ই’ত । আজ সমস্ত দিন, যত যন্ত্রণ পেয়েচে, ততই সে তোমার কাছে যাবার জন্ত কেঁচে–কি ভালই তোমাকে সে বেসেছিল। কিন্তু এখন শুর জ্ঞান নেই—এসে আমার সঙ্গে। w কুসুম নিঃশব্দে স্বামীর অনুসরণ করিল দ্বারের কাছে আসিয়া বৃন্দাবন হাত দিয়া চরণের অন্তিম-শয্যা দেখাইয়া দিয়া কহিল, ঐ চরণ শুয়ে আছে—যাও, নাও গে। কেশব, ইনি চরণের ম'। বলিয়া ধীরে ধীরে অন্তক্ৰ চলিয়া গেল । Q