পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ 8ર:S ཨེ་ཝེ།རྩ করে লাভ নেই, পচা ঘোলের দুর্গন্ধের অপবাদ দুধের ওপর আরোপ করাও ভুল। অজ্ঞান ব্রাহ্মণকেও কোথায় ঠেলে নিয়ে গেছে, তাই বরং দ্যাখে । ... • কেশব সেই সব কথা স্মরণ করিয়া ক্রোধে ক্ষোভে অন্তর পুড়িয়া যাইতেছিল, যা মুখে আসিল বলিল, তবে এত বড় দণ্ড কেন ? বৃন্দাবন কঠিল, দণ্ড ত নয়। সেই কথাই তোমাকে বলছিলুম কেশী, যখন কোন পাপের কথাই মনে পড়ে না, তখন এ আমার পাপের শাস্তি স্বীকার করে, নিজেকে ছোট করে দেখতে আমি চাই নে। এ জীবনের স্মরণ হয় না, গত জীবনের ঘাড়েও নিরর্থক অপরাধ চাপিয়ে দিলে আত্মার অপমান করা হয়। সুতরাং আমার এ পাপের ফল নয়, অপরাধের শাস্তি নয়—এ আমার গুরুগৃহ-বাসের গৌরবের ক্লেশ। কোন বড় জিনিসই নি ছঃখে মেলে না কেশব, আজ আমার চরণের মৃত্যুতে যে শিক্ষা লাভ হ’ল, তত বড় শিক্ষা, পুত্র-শোকের মত মহৎ দুঃখ ছাড়া কিছুতেই মেলে না। বুক চিরে দেখাবার হলে তোমাকে দেখাতাম, আজ পৃথিবীর মেথানে যত ছেলে আছে, তাদের সবাইকে আমার চরণ তার নিজের যায়গাটি ছেড়ে দিয়ে গেছে। তুমি ব্রাহ্মণ, আজ আমাকে শুধু এই আশীৰ্ব্বাদ কর• আজ " যা পেয়েছি, তাকে যেন না হারিয়ে ফেলে সব নষ্ট করে বসি । - বুদানের কণ্ঠ রুদ্ধ ইয়া গেল, ছুই বন্ধু মুখোমুখি দাড়াইয়া ঝর কর করিয়া কাদিয়া ফেলিল । - .সেদিন বৃন্দাবন একটিমাত্র কুপ প্রস্তুত ইর্কুটুবার সঙ্কল্প করিয়াছিল, কিন্তু দেখা গেল খকটিই যথেষ্ট নচে । গ্রামের"পুৰ্ব্ব দিকেই অধিকাংশ দুঃখী লোকের বাস, এ ধাড়ায় আর একটা বড় রকমের কূপ প্রস্তুত না করিলে জলকষ্ট এবং ব্যাধি-পীড়া নিবারিত হইবে না । তাই কেশব ফারমের সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া সংবাদ লইয়া আসিল যে, যথেষ্ট অর্থ