পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ శ్రీ নির্নিমেষ চক্ষে চাহিয়া থাকিয় সহসা প্রবল বেগে বুকের উপর টানিয়া লইয়া দুই বাহুতে দৃঢ়ৰূপে চাপিয ধরিয়া ঝর ঝর করিয়া কাদিয়া ফেলিল । চরণ নিজেকে এই সুকঠিন বাহু পাশ হইতে মুক্ত করিবার চেষ্ঠা করিলে সে চোখ মুছিয়া বলিল, ছি বাবা, আমি যে মা হই। ছেলের উপর বরাবরই তাছার ভয়ানক লোভ ছিল, কাহাকেও কোন মতে একবার হাতের মধ্যে পাইলে আর ছাড়িতে চাহিত না, কিন্তু । আজিকার মত এমন বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধার ঝড় বুঝি আর কখনও তাহার মধ্যে উঠে নাই। বুক যেন তাষ্ঠীর ভাঙিয়া ছিড়িয়া পড়িতে লাগিল । এই মনোহর সুস্থ সবল শিশু তাহারই হইতে পারিত, কিন্তু কেন হইল না ? কে এমন বাদ সাধিল ? সন্তান হইতে জননীকে বঞ্চিত করিবার এত বড় অনধিকার সংসারে কার আছে ? চরণকে সে যতই নিজের বুকের উপর । অনুভব করিতে লাগিল ততই তাহার বঞ্চিত, ভূষিত মাতৃ-হৃদয় কিচুংভ যেন সান্তন মানিতে চাহিল না । তাহার কেবলই মনে হইতে লাগিল, তার নিজের ধন জোর করিয়া, অন্যায় করিয়া অপরে কড়িয়া লইয়াছে। কিন্তু চরণের পক্ষে অসহ হই উঠিছিল। এমন জানিলে দে বোধ করি, নদীতেই জল খাহত । এই মেহের পীড়ন হইতে পিপাস বোধ করি, অনেক সুসহ হইতে পরিত। কলি, ছেড়ে দাও ! কুসুম দুই হাতের মধ্যে তষ্ঠার মুখখানি লষ্টয়া বলিল, ম হল, ত: ইলে ছেড়ে দেব } t চরণ ঘড়ি মাড়িয়া বলিল, ন । * তা হলে, ছেড়ে দেব না, বলিয়া কুহুল বুকের মধ্যে আবার চাপিয়া ধরিল। টিপিয়া, পিষিয়া চুমা খাইল তাকে স্থাপ ইয়া তুলিঃ বলিল, মা না বললে কিছুতেই ছেড়ে দেব না ! চরণ বাদ কঁদি হইয়া বলিল, মা ; &