পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ 8s ঘুমাইয়া পড়িবে, .ெ মুছিয়া তাহার পানে চাহিয়া মনে মনে কহিলু, ভয় কি ! আমার ছেলে আছে, আর কেহ আশ্রয় না দিক, সে দেবেই ! পরদিন স্বৰ্যোদয়ের কিছু পরে মাতাপুত্র .নী হইতে রান করিয়া আসিয়াই দেখিল, একটি প্রৌঢ়া নারী প্রাঙ্গণের মাঝখানে দাড়াইয় নানাবিধ প্রশ্ন করিতেছেন এবং কুঞ্জনাথ সবিনয়ে যথাযোগ্য উত্তর দিতেছে। ইনি কুন্ত্রনাথের শাশুড়ী। শুধু কৌতুহলংশে জামাতার টারখানি দেখিতে আসেন নাই,নিজের চোখে দেখিয়া নিশ্চয় করিতে আসিয়াছেন, একমাত্র কন্যা-রত্নকে কোন দিন এখানে পাঠানো নিরাপদ কিনা ! হঠাৎ কুহুমকে প্রবেশ করিতে দেখিয়া তিনি অবাক হইয় তাহার মুখপানে চাহিয়া রছিলেন। তাহার সিক্তবসনে যৌবন-শ্ৰী আঁটিয়া রাখিতে পারিতেছিল না। দেহের তপ্তকাঞ্চন বর্ণ ভিজা কাপড় ফুটিয়া বাহির হইতেছিল। আর্দ্র এলো চুলের রাশি সমস্ত পিঠব্যাপিয়া জায় স্পর্শ করিয়া বুলিতেছিল । তাহার বাম কক্ষে পূর্ণ কলস, ডান হাতে চরণের বাম হাত ধর। তাহার হাতেও একটি ক্ষুদ্র জলপূর্ণ ঘট । সংসারে এমন মাতৃমূৰ্ত্তি কদাচিৎ চোখে পড়ে এবং যখন পড়ে,তখন অবাক স্থইম্বাই চাহিয়া থাকিতে হয়। কুঞ্জনাথও ই করিয়া চাহিয়া আছে দেখিয়া কুসুমের লজ্জা করিয়া উঠিল, সে ব্যস্ত হইয়া চলিয়া যাইবার উপক্রম করিতেই কুঞ্জর বলিয়া উঠিলেন, এই কুসুম বুঝি ? কুঞ্জ খুর্দী হইয়া কহিল, ই মা, আমার বোন। সমস্ত প্রাঙ্গণটাই গোময় দিয়া নিকান, তাই কুয়ম সেইখনেই বড়াটা নামাইয়া রাখিয়া এণাম করিল । মায়ের দেখাদেখি'চরণও প্রণাম করিল। তিনি বলিলেন, এ ছেলেটিকে কোথায় দেখেচি যেন । ছেলেটি তৎক্ষণাৎ আত্মপরিচয় দিয়া কহিল, আমি চরণ । ঠাকুরমার সঙ্গে আপনাদের বাড়িতে মামাবাবুর মেয়ে দেখতে গিয়েছিলুম ; 8