পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতমশাই নিশ্চয়ই তাঁহাকে স্বপথ দেখাইয়া দিতেন, অন্তরের কোথাও, কোনো একটু ক্ষুদ্র কোণে এতটুকু লজ্জার বাষ্পও অবশিষ্ট রাখিতেন। আজ হটবার। গোপলের মা বহুক্ষণ হাটে গিয়াছে, এখনি আসিবে, এই জন্য সদর দরজা খোলা ছিল, হঠাৎ দ্বার ঠেলিয়। কুবুন}থব:5': , সঙ্গে করিয়া বিলাতি জুতার মচ মচ, শব্দ করিয়া পড়ার লোকবিক্ষয় ও ঈর্ষ উৎপাদন করিয়া বাড়ি ঢুকিলেন। কুহুম টের পাইল, কিন্তু অশ্রুকলুষিত রাঙা চোখ লজ্জায় তুলিতে পারিল না। \ কুঞ্জনাথ সোজা ভগিনীর সুমুখে আসি কহিল, তোর বৃন্দাবন যে আবার বিয়ে কচ্চে রে ! কুসুমের বক্ষঃ-স্পন্দন থামিয়া গেল, সে কাঠের মত নতমুখে বসিয়া রহিল । - কুঞ্জ গলা চড়াইয়া কছিল, কুমীরের সঙ্গে বাদ করে, কি করে জলে বাস। করে, আমাকে তাই একবার দেখতে হবে। ঐ নন্দ বেষ্টন, কত বড় । বোমের বেটা বোম, আমি তাই দেখতে চাই, আমার জমিদারীতে বাস করে আমারই অপমান! - ‘কুসুম কোন কথাই বুঝিতে পারিল না, অনেক কষ্ট্রে জিজ্ঞাসা করিল, নন্দ বোষ্ট্রম কে ? .কে ? আমার প্রজ ! আমার পুকুরপাড়ে ঘর বেঁধে আছে। ঘরে আগুন লাগিয়ে দেব ; সেই ব্যাটার মেয়ে—এই ফাল্গুন মাসে হবে, সব নাকি ঠিকঠাক হয়ে গেছে—ভূতে, তামাক সাজ । * কুসুম এতক্ষণ চুেখি তোলে নাই, তাই চাকরের আগমন । করে নাই, একটু সঙ্কুচিত হইয়া বসিল । কুঞ্জ প্রশ্ন করিল, ভূতে, নদীর মেয়েট দেখতে কেম; রে ? ভূতে ভাবিয়া চিন্তিয়া বলিল, বেশ।