পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ পণ্ডিতমশাই কুম্বমের ছিল না, তাই নলডাঙ্গা ফিরিয়া, যখন সে বাড়ি আসিতে চাহিল এবং তিনি সাপের মত গর্জন করিয়া বললেন, ক্ষ্যাপার মত কথা বলে না বাছা। আমাদের বড়লোকদের শঙ্কুর পদে পণে—তুমি সোমন্ত মেয়ে, সেখানে একলা পড়ে থাকূলে, আমরা সধীরে মুখ দেখতে পারব না। তখনও কুয়ম প্রতিবাদ করে নাই । p t তিনি ক্ষণেক পরে কহিলেন, ইচ্ছে হয়, দাদার সঙ্গে যাও, স্নর-দোর দেখে দাদার সঙ্গেই ফিরে এসো। একলা তোমার কিছুতেই থাকা হবে না, তা বলে দিচ্ছি। কুসুম তাছাতেই রাজী হইয়া কাল সন্ধ্যায় ঘর-বার দেখিতে আসিয়াছিল। o আজ চরণ প্রভৃতি চলিয়া যাইবার ঘণ্টা-দুই পরে কুঞ্জনাথ জমিদারী চালে সারা গ্রামটা ঘুরিয়া ফিরিয়া আলি, রানাহার করি নিদ্রালি এবং বেলা পড়িলে বোনকে লইয়া শ্বশুরবাড়ি ফিরিবার আয়োজন করিল। কুসুম ঘর-দোরে চাবি দিয়া নিঃশন্ধে গাড়ীতে গিয়া বসিল। সে জাতি, দাদা ইগদের প্রতি প্রসন্ন নয়, তাই সকালের কোন কথা প্রকাশ । করিল না। o , - . কুঞ্জর স্ত্রীর নাম ব্রজেশ্বরী। সে যেমন মুখর, তেমনি কলপটু। বয়স এখনও পনের পূর্ণ য় নাই, কিন্তু তাহার কথার বানি ও বিষের জলনে তাহার মাকেও হার মুনিয়া চোখের জল ফেলিতে হইত। এই ব্রজেশ্বরী কুসুমকে কি জানি কেন, চোখের দেখা মাত্রই ভালবালয় কেলি বা বাহা, বা তাতে খুলি হল , હઃ মেয়ের চোখের আড়ালে টিপিয়া টিপিয় তাহাকে যা-ত বলি গিলেন। বাড়ির সম্মুখেই পুষ্করিণী, তিন-চার দিন পরে, একদিন সকালে সে কতকগুলা বায়ুন লইয়া ধুইয়া আনিতে যাইতেছিল, ব্ৰজেশ্বরী ঘর ইতে