পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম সংস্করণের ভুমিকা

 এই গ্রন্থে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পত্রাবলীর একটি ধারাবাহিক সংকলন প্রকাশ করা হইল। ১৯১২ হইতে ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ১২০ খানি পত্র কালক্রম অনুসারে সন্নিবিষ্ট করা হইয়াছে। আমাদের বিশ্বাস, নেতাজীর মানসলোকের ক্রমবিবর্ত্তন এই সংকলনের মাধ্যমে, সামগ্রিকভাবে না হইলেও, কিছুটা প্রতিফলিত হইবে এবং ভারতের জাতীয়-সংগ্রাম ও সমাজ-চেতনার ইতিহাসের গবেষণার ক্ষেত্রেও গ্রন্থটি কিছুটা সাহায্য করিবে।

 নেতাজী রিসার্চ্চ ব্যুরো নেতাজী ও ভারতের মুক্তি-সংগ্রাম সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে গবেষণা ও সাধনার সূচনা করিয়াছেন এবং পটভূমিকা ও বিষয়বস্তু সংগ্রহে ব্রতী হইয়াছেন। বর্ত্তমান গ্রন্থ ঐ প্রচেষ্টার প্রথম ফলস্বরূপ।

 এই সংগ্রহের অধিকাংশ পত্র নেতাজীর মাতা প্রভাবতী বসু, মেজদাদা শরৎচন্দ্র বসু, মেজবৌদিদি বিভাবতী বসু, দেশবন্ধু-পত্নী শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী এবং নেতাজীর বন্ধুস্থানীয় হেমন্তকুমার সরকার, দিলীপকুমার রায় ও শ্রীচারুচন্দ্র গাঙ্গুলীকে লিখিত। অন্য পত্রগুলি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্রীগোপাললাল সান্যাল, শ্রীহরিচরণ বাগচী, শ্রী অনিলচন্দ্র বিশ্বাস, শ্রীভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীঅনাথবন্ধু দত্ত ও শ্রীযুক্তা কল্যাণী দেবীকে লিখিত। এই গ্রন্থের কিছু কিছু পত্র বিক্ষিপ্তভাবে পূর্ব্বে প্রকাশিত হইয়াছিল। এই প্রথম সেগুলিকে একত্রিত ও সুসংবদ্ধ করা হইল। শরৎচন্দ্র বসু ও দিলীপকুমার রায়কে লিখিত মূল ইংরাজী পত্র গুলির বঙ্গানুবাদ দেওয়া হইল।

 গ্রন্থের শেষে এক সংক্ষিপ্ত ব্যক্তি-পরিচয় দেওয়া হইয়াছে। পরবর্ত্তী সংস্করণে একটি সম্পূর্ণ গ্রন্থ-পরিচিতি সন্নিবেশ করার ইচ্ছা রহিল।

 প্রভাবতী বসু, শরৎচন্দ্র বসু ও বিভাবতী বসুকে লিখিত পত্রাবলী বিভাবতী বসু মৃত্যুর পূর্ব্বে নেতাজীর জীবনী রচনা ও গবেষণার কার্য্যে ব্যবহারের জন্য দান করিয়া গিয়াছিলেন। পরমশ্রদ্ধেয়া শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী তাঁহার নিকট লিখিত পত্রগুলি নেতাজী রিসার্চ্চ ব্যুরোকে দান করিয়া ও প্রকাশের অনুমতি দিয়া আমাদের অনুগৃহীত করিয়াছেন। হেমন্তকুমার সরকারের