পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৩

(শ্রী চারুচন্দ্র গাঙ্গুলীকে লিখিত)

ফিটজ্ উইলিয়াম হল, কেম্ব্রিজ
২২শে এপ্রিল, ১৯২১

ভাই চারু,

 তুমি জান কর্ত্তব্যের আহ্বানে একবার জীবন-তরী ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। সেই তরী এখন রম্যকাননে উপনীত হয়েছে যেখানে Power, Property, Wealth আমার করতলগত। কিন্তু হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সাড়া আসছে—“তােমার এতে আনন্দ নাই। তােমার একমাত্র আনন্দ-সাগরের ঊর্ম্মিমালার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বেড়ানাে।”

 সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ তাঁরই হাতে জীবন-তরী ভাসিয়ে দিলাম। তিনি জানেন, এ তরী কোথায় পৌঁছবে।

 কি করব এখনও ঠিক করতে পারি নি। একবার ইচ্ছে হচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশনে যােগ দেবো। একবার ইচ্ছা হচ্ছে—বােলপুরে যাব। আবার ইচ্ছে হচ্ছে সাংবাদিক হব। দেখা যাক কি হয়।

ইতি—
তোমার সুভাষ।
৬৪

(পরবর্ত্তী সাতখানি পত্র শরৎচন্দ্র বসুকে লিখিত)

কেম্ব্রিজ
২৮।৪।২১

 আমার পদত্যাগ সম্বন্ধে ফিটজ্ উইলিয়াম হলের সেন্সর রেডাওয়ে সাহেবের সহিত কথাবার্ত্তা হইল। আমি তাঁহার নিকট যাহা প্রত্যাশা করিয়াছিলাম ঠিক তাহার বিপরীত ঘটিল—তিনি আমার চিন্তাধারার প্রতি সােৎসাহে সমর্থন জানাইলেন। আমি মত

১১৫