পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৮৮

পরবর্ত্তী তিনখানি পত্র শ্রী অনিলচন্দ্র বিশ্বাসকে লিখিত

মান্দালয় জেল (১৯২৫?)

সবিনয় নিবেদন,

 আপনার পত্র পাইয়া ও সকল সমাচার অবগত হইয়া আনন্দিত হইলাম। কার্য্যকরী সমিতির খুব বেশী সভ্য সেবাশ্রমের কাজের দিকে দৃষ্টি দেন না বলিয়া আপনারা নিরাশ বা চিন্তিত হইবেন না। অধিকাংশ কার্য্যকরী সমিতিরই এইরূপ অবস্থা। আপনাদের নিজেদের সেবা ও আগ্রহাতিশয্যের দ্বারায় অপরের আগ্রহ ও সেবা প্রবৃত্তি জাগাইতে হইবে। গ্রামের মধ্যে অপরের দুঃখে সমবেদনা ও সহানুভূতি না জাগিলে সেবাকার্য্য সম্ভবপর হয় না। অন্ততঃ সম্ভবপর হইলেও সার্থক হয় না। আপনাদের আত্যন্তিক সেবা ও জনপ্রীতির ফলে সমাজে অপরের হৃদয়েরও তাদৃশভাব জাগরিত হইবে—ইহাই আমার ভরসা ও আকাঙ্ক্ষা।

 সেবাশ্রমের বাড়ীর সঙ্গে বাগান করিবার মত জমি আছে কি?

 মাসিক ১৪০৲ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় হয় শুনিয়া সুখী হইলাম। বাড়ীভাড়া এখন কত দিতে হয়? বাড়ী কয় তলা এবং মোট কয়খানা ঘর আছে? কর্পোরেশনের প্রাইমারী স্কুলে কয়জন ছাত্র হয় এবং কোন্ জাতির ছাত্র পড়িতে আসে? সেবাশ্রমের বালকদের কি শিক্ষা দেওয়া হয় তার বিস্তৃত বিবরণ আমাকে পাঠাইবেন, সেবাশ্রমের কোনও চাকর আছে কিনা এবং থাকিলে কয়জন চাকর আছে তাহা জানাইবেন।

 দৈনিক রন্ধন কে করে? বালকদের মধ্যে কয়জন তাঁতের ও Sewing machine-এর কাজ শিখিতেছে? কতদিনের মধ্যে অন্ততঃ একটি বালক কাপড় বুনিতে ও সেলাই-এর কাজ (মোটামুটি কোট ও পাঞ্জাবী তৈরী করা) শিখিতে পারিবে বলিয়া ভরসা করেন?

১৯২