পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বস্তুর বাজারের চাহিদা কি রকম তা জানা দরকার। আমার নিজের মনে হয় যে খুব Conscientious recipients না পাইলে এ বিষয়ে কৃতকার্য্য হওয়ার ভরসা কম। গরীব ভদ্র পরিবারদের দ্বারা এ কাজ চলিতে পারে। মাল তৈয়ারী হইয়া আসিলে সঙ্গে সঙ্গে তার দাম অথবা পারিশ্রমিক চুকাইয়া দিতে হইবে এবং বিক্রয় না হওয়া পর্য্যন্ত মালগুলি আমাদের ভাণ্ডারে রাখিতে হইবে।

 সমিতির পক্ষে আর একটি কাজে হাত দেওয়া বিশেষ দরকার।

 কলিকাতায় দুইটি জেল আছে, প্রেসিডেন্সি ও আলিপুর সেণ্ট্রাল। জেলের হাসপাতালে কোনও হিন্দু কয়েদী মারা গেলে আর তার যদি আত্মীয়স্বজন কলিকাতায় কেহ না থাকে তবে তার উচিতমত সৎকার হয় না, পয়সা দিয়া ডোম বা মেথর শ্রেণীর লোক দিয়া সৎকারের ব্যবস্থা করিতে হয়। এদিকে মুসলমানদের Burial Association আছে এবং মুসলমান কয়েদী মারা গেলে তার খবর পাওয়া মাত্র সৎকারের ব্যবস্থা করে। এরূপ একটা Organization হিন্দু কয়েদীদের জন্য করা প্রয়োজন। এ কাজের ভার কি সেবক-সমিতি লইতে পারে? যদি আপনাদের মত হয় তবে বসন্তবাবুকে দিয়া জেল সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টকে পত্র দিতে পারেন যে, সেবা-সমিতি এ কাজের ভার লইতে প্রস্তুত আছে। আপনারা যদি এখন ব্যবস্থা না-ও করিতে পারেন তবে আমি বাইরে গেলে নিজে এ বিষয়ে চেষ্টা করিব। আমি নিজে লোকাভাব ঘটিলে অনেক সৎকার করিয়াছি, সুতরাং এরূপ কাজে আমি স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করিতে স্বয়ং প্রস্তুত।

 * * *

 কুটীর-শিল্প যদি চালাইতে চান তবে একটা কাজ করা দরকার। একটি উপযুক্ত যুবককে কাশীমবাজার Polytechnic অথবা ঐ জাতীয় কোন প্রতিষ্ঠানে কিছু কাজ শিখিয়া লইতে হইবে। কাশীমবাজারের স্কুলে মাটির পুতুল ও দেবদেবীর মূর্ত্তি খুব সুন্দর তৈয়ারী হয়। এইরূপ শিল্প যদি সমিতির সাহায্যপ্রার্থীদের মধ্যে চালাইতে

১৯৮