পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 রাস্তার আলো সম্বন্ধে গ্যাস কোম্পানীর সহিত চুক্তি ১৯৩১ সালে শেষ হইবে। উহা শেষ হইবার ৫ বৎসর পূর্ব্বে (অর্থাৎ ১৯২৬ সালে) নূতন চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার কথা, যাহাতে ১৯৩১ সালে কাজ শুরু করার জন্য নূতন পার্টি প্রস্তুত হইতে পারে। আমাদের সম্মুখে চারিটি উপায় খোলা আছে:

 (১) এই বিভাগকে পৌরসভার অধীনে আনা ও গ্যাস সরবরাহ করা।

 (২) এই বিভাগকে পৌরসভার অধীনে আনা ও গ্যাসের পরিবর্ত্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

 (৩) সহরের রাস্তায় বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করিবার জন্য নূতন কোনও কোম্পানীর সহিত চুক্তি করা।

 (৪) গ্যাস কোম্পানীর সহিত নূতন করিয়া চুক্তি করা।

 আপনি বোধহয় অনুমান করিতে পারেন, আমি এই বিভাগটিকে পৌরসভার অধীনে আনারই পক্ষপাতী। পৃথিবীর বড় বড় সহরে পৌরসভাগুলিই রাস্তায় বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করিয়া থাকে; তবে আমরা কেন পারিব না? যদি আমরা গ্যাসের ব্যবহার চালু রাখিতে চাই তাহা হইলে উহার উপজাত জিনিসগুলিকে শিল্পে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলির নিকট বিক্রয় করিয়া কাজে লাগাইতে পারি অথবা পৌরসভাই উহার দ্বারা শিল্প পরিচালনা করিতে পারে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, Phenyle অথবা Phenocol না কিনিয়া আমরা নিজেরাই বীজাণুনাশক দ্রব্য উৎপাদন করিতে পারি। গ্যাস কোম্পানীর সমগ্র কারখানাটি সেলামী দিয়া কিনিয়া লইয়া উহা আমাদের নিজেদের পরিচালনাধীনে আনাও সম্ভব হইতে পারে। ইহা আমি বুঝিতে পারি না যে, কেন উহা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইবে না।

 পৌরসভার অধীনে আসিলে গ্যাসের পরিবর্ত্তে আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করিব কিনা উহা গভীরভাবে বিবেচনা করিয়া দেখিতে হইবে।

২০১