পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যদি এত সহিতে পারেন, আমরা কি তার কিয়দংশও সইতে পারব না? আশীর্ব্বাদ করুন— যত বড় বিপদ আসুক না কেন—যেন সঙ্গে সঙ্গে সহ্য করবার শক্তিও আসে। ভগবানের কৃপায় আজ পর্য্যন্ত এই শক্তি পেয়ে আসছি—চিরকাল যেন এই শক্তি পাই, এর চেয়ে বড় প্রার্থনা আমার জীবনে আর নাই। আজ তবে আসি মা।

 আর কি লিখিব? কি লিখিতে কি লিখেছি জানি না।

ইতি— 

আপনার সেবক 

শ্রীসুভাষ 
Srijukta Basanti Debi
C/o Mr. Justice P. R. Das
Patna
৯৪

পরবর্ত্তী তিনখানি পত্র শ্রীহরিচরণ বাগচীকে লিখিত

মান্দালয় জেল (১৯২৬?)

 তুমি যাহা লিখিয়াছ তাহা সত্য—খাটি কর্ম্মীর অভাব বড় বেশী তবে যেরূপ উপাদান যােগাড় হয় তাহা লইয়াই কাজ করিতে হইবে। জীবন না দিলে যেমন জীবন পাওয়া যায় না—ভালবাসা না দিলে যেমন প্রতিদানে ভালবাসা পাওয়া যায় না—তেমনি নিজে মানুষ না হইলে মানুষ তৈয়ারী করাও যায় না।

 রাজনীতির স্রোত ক্রমশঃ যেরূপ পঙ্কিল হইয়া আসিতেছে, তাহাতে মনে হয় যে, অন্ততঃ কিছু কালের জন্য রাজনীতির ভিতর দিয়া দেশের কোনও বিশেষ উপকার হইবে না। সত্য ও ত্যাগ—এই দুইটি আদর্শ

২১৬