পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বুঝি না। আমরা এরূপ অন্ধ, এরূপ অবিশ্বাসী ও এরূপ মূর্খ যে কিছুতেই আমাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হয় না। আমরা মানুষ নহি কলিযুগের রাক্ষস।

 তবে আমাদের আশা আছে—ভগবান দয়াময়—তিনি চিরকালই দয়াময়। ভীষণ পাপের তাণ্ডব নৃত্যের ভিতরেও তাঁহার দয়ার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁহার দয়ার আদিও নাই অন্তও নাই।

 বৈষ্ণব ধর্ম্মের লোেপ হইবার উপক্রম হইলে, বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ অদ্বৈতাচার্য্য বৈষ্ণব ধর্ম্মের অবমাননায় ব্যথিত হইয়া প্রার্থনা করেন, “হে ভগবান্ রক্ষা কর, এ কলিযুগে আর ধর্ম্ম থাকে না, তুমি আসিয়া উদ্ধার কর।” তখন নারায়ণ চৈতন্যদেবের দেহ ধারণ করিয়া পুনরায় মর্ত্ত্যলোকে আগমন করেন। এই সব দেখিয়া পাপের অন্ধকারের ভিতরেও মাঝে ২ সত্য, জ্ঞান, প্রেম ধর্ম্মের আলোক দেখিতে পাইয়া আশা হয় যে, এখনও আমাদের উন্নতি হইতে পারে, তাহা না হইলে কেন তিনি পুনঃ পুনঃ এখানে আসিয়া মানবদেহ ধারণ করিবেন।

 আপনি কলকাতায় আর কতদিন থাকবেন। আপনার সকলে কেমন আছেন লিখিয়া চিন্তা দূর করিবেন। আমরা সকলে ভাল আছি। বাবা ভাল আছেন। ইতি—

আপনারই সেবক 
সুভাষ