পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চিকিৎসালয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে গেলে বিশেষ কিছু লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না—কারণ তার দ্বারা দেশবাসীর মধ্যে initiative জাগরূক হবে না। তাহার। কর্ম্মপ্রেরণা লাভ না করে, গভর্ণমেণ্টের উপর আরও বেশী নির্ভর করতে শিখবে, অবশ্য·····হিসাবে এবং সাময়িক প্রয়ােজনের নিমিত্ত হাসপাতাল, ডিস্পেন্সারি খুব ভাল, কিন্তু আমার মনে হয় যে আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দেশবাসীর মধ্যে কর্ম্মের প্রেরণা জাগিয়ে তােল এবং তাহারই সাহায্যে প্রধানতঃ সমবেত চেষ্টার দ্বারা স্বাস্থ্য, অন্ন ও কৃষি সমস্যার সমাধান কর।

 শ্রমজীবী শিক্ষণ পরিষৎ, বঙ্গীয় স্বাস্থ্য সমিতি এবং এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি যদি সৎপথে পরিচালিত হয় তবে তাদের দ্বারা উপরােক্ত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হতে পারে বলে আমি ভরসা করি। সুতরাং, এই সব প্রতিষ্ঠানের কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করা উচিত। এইসব ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান হয় তো একদিন বৃহৎ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

 কর্পোরেশন সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তা সত্য। ওদের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধানতঃ সরকারী বিভাগের মত। ঐ বিভাগকে democratize না করা পর্য্যন্ত কোনও কাজ হবে না। Ward Health Association-কে কেন্দ্র করে কাজ করে যেতে হবে—কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনও Ward Health Association আজ পর্য্যন্ত সজীবতা প্রাপ্ত হল না। তার কারণ ঐ—সহযােগিতা ও কর্ম্মপ্রেরণার অভাব।

 আমি যখনই খালাস হই না কেন ভবিষ্যৎ কাজ সম্বন্ধে খুব clear-cut ideas নিয়ে যেতে পারব।

 খদ্দরের অবস্থা কি? দাম বাড়ছে, না কমছে? এখানে তো দুর্ম্মূল্য।

 বিধু ফিরে এসেছে শুনে সুখী হলুম। সে এখন কোথায় কাজ নেবে?

২৪৪