পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এই দুইটি বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা করিবেন। এ বিষয়ে মেজদাদাকেও এক পত্র দিয়াছি। বিধবা আশ্রমের জন্য আমার যথেষ্ট ভাবনা আছে; তাই বলিতেছি, অন্যত্র তাহাদের জন্য ভাল জমি খুঁজিয়া বাহির করা কষ্টকর হইবে না।

 সহরে শিক্ষার অবস্থা সম্বন্ধে অনুসন্ধানকার্য্য চালাইবার জন্য যে অফিসারকে নিয়োগ করা হইয়াছে উহাতে Education Officer খুশী হইতে পারেন নাই বোধহয়।

 Roads Department-এর কেন্দ্রীয়করণের কাজটা খুব সহজ হইবে মনে হয় না। সমস্ত বিভাগ হইতেই একসঙ্গে বাধা আসিবে তবু ইহা করিতেই হইবে।

 এ বিষয়ে আমি আনন্দিত যে, ডেপুটি মেয়রের প্রতি কর্ত্তব্য নির্দ্ধারণের ব্যাপারে সকলেই একমত হইয়াছেন। আমি দুঃখিত, ঐ সময়ে সেখানে এমন কেহই উপস্থিত ছিলেন না যিনি অসৌজন্য প্রকাশের ইচ্ছাটাকে দমন করিতে পারিতেন! রেঙ্গুনের পত্রিকাগুলিতে দেখিলাম যে, তদন্ত কমিটি ডেপুটি মেয়রের অপসারণের প্রস্তাব করিয়াছেন। ইহাতে আমি খুব বেদনা বোধ করিয়াছি। আশা করি, এরকম কোনও সুপারিশ সত্যই করা হইলে কর্পোরেশন উহা প্রত্যাখ্যান করিবে। কোনও বিতর্কের মধ্যে না গিয়াও, কর্পোরেশনের সভা যে শীঘ্রই বন্ধ হইয়া যাইতেছে—এ যুক্তিটাই উহা করার কারণ হিসাবে যথেষ্ট বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে।

 কয়েক দিন পূর্ব্বে অস্থায়ী H.O. ডাঃ টি এন মজুমদার একখানি প্রশংসাপত্রের জন্য আমার নিকট লিখিয়াছিলেন। প্রথমে আমি একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া গিয়াছিলাম এবং কি করিব ঠিক করিয়া উঠিতে পারি নাই। শেষ পর্য্যন্ত তাঁহাকে সাধারণভাবে একটি প্রশংসা পত্র লিখিয়া পাঠানোই ঠিক করিলাম এই ভাবিয়া যে, যদি আজ আমি কার্য্যরত থাকিতাম তাহা হইলে উহা অনায়াসেই তিনি চাহিতে পারিতেন। না লেখাই আমার উচিত ছিল, ইহা আমার মনে হয়

২৬৮