পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এখন যথেষ্ট পরিমাণে ভালই আছি। তবে এই আবহাওয়া ঠিক আমার বর্ত্তমান স্বাস্থ্যের পক্ষে দুর্ভাগ্যবশতঃ অনুকুল নয়, তারপর অজীর্ণজনিত অস্বাচ্ছন্দ্য তো আছেই—এই সকল প্রতিবন্ধকতাগুলি না থাকিলে, আমার বিশ্বাস আমার স্বাস্থ্যের আরও বহুল পরিমাণ উন্নতি ঘটিত। যাহাই হউক সর্ব্বোত্তমের জন্যই আশা রাখা যাক্।

 আমি যখন ইনসিনে ছিলাম সেই সময় পণ্ডিচেরী হইতে অনিলবাবু আমাকে পত্র লিখিয়া গত ২১শে মার্চ্চের সরকারী প্রস্তাবটি গ্রহণ করিতে বলেন। ঐ পত্রে তিনি আমাকে আপনার অভিমতটিও (তাঁহারই মতের অনুরূপ) জ্ঞাপন করেন। ম্যাণ্ডেলে হইতে প্রত্যাবর্ত্তনের পর লেঃ কঃ তারাপোরেও আমার সহিত ইনসিনে সাক্ষাৎ করেন এবং আপনার মতামত সম্বন্ধে আমাকে অবহিত করেন। আমি আশা করি যে আমরা সকলেই এ বিষয়ে একমত যে “যাহার শেষ ভাল তাহার সব ভাল।”

 ইনসিন হইতে ৩৮/১ এলগিন রোড পর্য্যন্ত আমার যাত্রার খুঁটিনাটি বিবরণসহ একটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ করাব প্রবল বাসনা মনের মধ্যে ছিল, কারণ সেই বিবরণ আপনাদের পক্ষে আনন্দদায়ক হাটত বলিয়াই আমার ধারণা। কিন্তু আমি দেখিলাম যে সংবাদপত্রগুলি এ সম্বন্ধে প্রায় সব কিছুই প্রকাশ করিয়াছে; সে সম্বন্ধে কেবল একটি বিষয়ের উল্লেখ প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করি। দণ্ডিত ওয়ার্ডার গফুর আমার পরিচারক হিসাবে এই যাত্রায় আমার সহচর ছিল। সে খাদি পোষাক পরিহিত ছিল। আউটরাম ঘাটে অবতরণের পর ইংলিশম্যানের সংবাদদাতা তাহাকে সরকারী কয়েদী বলিয়া অনুমান করিয়া লইলেন। সংসদীয় সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আপনার ভ্রাতাকে আপনি যে পত্র লিখিয়াছিলেন এবং আপনার প্রতি মিঃ প্যাটেলের উত্তর পত্রিকাসমূহে প্রকাশিত হইয়াছে। বঙ্গীয় পরিষদের সভাপতির উদ্দেশ্যে লিখিত আমার পত্রটিও কয়েকদিন পূর্ব্বে পত্রিকায় প্রকাশিত

৩১৭