পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রমাণ করাও সম্ভব নয়। তবু রাজনৈতিক কারণেই (যাহা গঠিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় নাই) তাঁহার পুনর্নিয়োগ আশা করা যাইতে পারে। যাহা হউক, এক্ষেত্রে ফল কতদূর কি হইবে জানি না; তবু গভর্ণমেণ্টকে প্রকৃত কারণ প্রকাশ করিতে বাধ্য করিতেই হইবে। তাছাড়া তাঁহার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হইয়াছে তাহার সহিত জেলারকেও জড়ানো উচিত ছিল—অমূল্যবাবু তাহার অধস্তন কর্ম্মচারী ছাড়া আর কিছু নন। আমি জানি, জেল বিভাগে যখনই কোনও ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে তখন অধস্তন কর্ম্মচারীকে না ধরিয়া জেলারকেই ধরা হয়। তাছাড়া টাকাকড়ির ব্যাপারে জেলারই সব কিছু দেখাশুনা করিয়া থাকেন—অধস্তন কর্ম্মচারীরা কিছু করেন না। অমূল্যবাবুকে এ্যাকাউণ্ট্যাণ্ট জেনারেল অফিসের এক বন্ধু বলিয়াছেন, তাঁহারা এ বিষয়টি তুলিবার জন্য দাবী (অথবা প্রস্তাব) করিবেন যে, জেলারের কাছেও কৈফিয়ৎ চাওয়া হউক। আমি খবর পাইয়াছি যে, Inspector General of Prisons-এর Personal Assistant এই জেলারের আত্মীয়; আর সেইজন্যই তাহাকে রেহাই দেওয়া হইয়াছে।

 সে যাহাই হউক, অমূল্যবাবু যখন কর্পোরেশনে চাকুরীর জন্য চেষ্টা করিতেছেন তখন এখানকার গভর্ণমেণ্টের নিকট এ ধরনের একটি আবেদন পাঠাইতে দোষ কিছু নাই। তাঁহার বরখাস্তের হুকুম কোনও ক্রমে রদ করাইতে পারিলে তাঁহার নামে যে অপবাদ দেওয়া হইয়াছে উহা অন্ততঃ মুছিয়া যাইবে।

 আমি জানি আজকাল কর্পোরেশনে চাকুরী জোগাড় করা কি কঠিন ব্যাপার—তাই ইহার সহিত যদি রাজনৈতিক কারণ জড়িত না থাকিত তাহা হইলে কোনও প্রার্থীর জন্য এরূপ আগ্রহ আমি প্রকাশ করিতাম না। অতএব অমূল্যবাবুর বিষয়টি সম্বন্ধে C. G. O-কে বার বার বলার জন্য আপনাকে অনুরোধ করিতেছি যতদিন না কিছু একটা ব্যবস্থা হয়।

৩২৯