পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এর জন্য বহুদিনের অভ্যাস চাই। তা’ না হ’লে হঠাৎ একদিন বিপদ যখন আসবে তখন তো মন ঠিক রাখতে পারব না। আমি অতি অধম, অতি দুর্ব্বল ছিলুম; গত ১৬।১৭ বৎসর নিজের মনের সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ করতে করতে যা-কিছু সংগ্রহ করেছি। এ সংগ্রামের বোধ হয় শেষ নাই, কারণ মনের উন্নতিরও কোনও শেষ নাই—যত উঁচুতে ওঠা যায়, আরও বেশী উঁচুতে উঠতে ইচ্ছা হয়। ফলে যুদ্ধ চলতেই থাকে।

 যাক্ অনেক বাজে বকলুম, কিছু মনে করবেন না। পাগল আমি নই, তবে যদি মনে করেন তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। একটু আধটু ছিট না থাকলে চলবে কেন? একেবারে স্থিরমস্তিষ্ক হওয়াটা কি ভাল!

 আমার জন্য কোনও চিন্তা নাই, বেশ আছি। পলি বোধ হয় একটু একলা পড়ে গেছে। সমবয়সী কেহ নাই।

 রাঙ্গা মামাবাবুর আসা সম্বন্ধে কিছু স্থির হলে আমাকে জানাবে এবং অশোককে বলবেন বইগুলি পাঠিয়ে দিতে।

 ওজনের কলের ভাঙ্গা অংশটা মেরামত হয়ে এসেছে। কিন্তু, আগেকার মত ঠিক record হয় না। ২।৪ পাউণ্ড এদিক-ওদিক হয়। মেজদাদাকে বলবেন যে আমার এখনকার ওজন ১৪৪-১৪৬: কলিকাতা থেকে যখন আসি তখন ছিল ১৩৪ পাউণ্ড।

 “Mother” বইটা আমার আর একবার পড়ার ইচ্ছা আছে। যদি লোক মারফৎ পাঠাবার সুবিধা হয় তো পাঠিয়ে দিবেন। ঐ বই-এর একটা সমালোচনা লিখবার ইচ্ছা আছে।

 যে প্রশ্ন নিয়ে আমি খুব চিন্তা করছিলুম—তার মীমাংসা হয়ে গেছে।

 আপনারা যখন কলিকাতায় যান তখন শান্তাহার ষ্টেশনে সাহা মহাশয় কি বাবার দুধ এনেছিলেন? এ বিষয়ে আপনারা কেহ লেখেন নাই। তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে একটা চিঠি লেখা দরকার। এখানে থাকার সম্বন্ধে আমার মত এই।

৩৪০