আবার একঘেয়ে ভাব ফিরিয়া আসে। জেলখানায় সময় কাটাইবার একমাত্র প্রকৃষ্ট উপায় অবিরাম পড়াশুনা করা।
গীতার বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে চিঠিটা খুব বড় হয়ে গেল। দেখছি নেড়ানেড়িদের ভয়ানক চিন্তা হয়েছে—ভাইয়ের নাম কি রাখা হবে। যখন সকলে একমত হতে পারছে না তখন এক কাজ করলে মন্দ হয় না। সবকটা নাম রেখে দেওয়া হোক—সে নিজে বড় হয়ে একটা বেছে নেবে পছন্দমত।
আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। অক্ষয় লিখেছে যে, সে এখানে আসতে চায়—দেখা করতে। তাকে বারণ করবেন আসতে। মিছিমিছি এতদূর আসার দরকার কি?
বাবা-মার শরীর কেমন আছে? এখানে আর কতদিন থাকতে হবে জানি না। যদি মধ্যে মধ্যে কেহ জব্বলপুরে যেতে পারেন, তা হলে ভাল হয়। মেজদাদা সেখানে বড় একলা বোধ করবেন। অক্ষয় এখানে না এসে বরং জব্বলপুরে যাক। ইতি—
শ্রীশ্রীদুর্গা সহায়
পরম পূজনীয়া মেজবৌদিদি,
আপনার ২রা সেপ্টেম্বরের পত্র আমি ১০ তারিখে পাই এবং ২৪শে সেপ্টেম্বরের পত্র আমি ৩০শে তারিখে (অর্থাৎ গতকল্য) পাই।
আমার সহিত কেহ দেখা করিতে আসিবে শুনিলে মনটা যেন চঞ্চল হইয়া উঠে। মোট কথা কাহারও আসাটা আমি পছন্দ করি না।
৩৭৭