তাই অক্ষয় যখন লিখিল সে আসিতে চায়, আমি বারণ করিয়া পাঠাইলাম। মাঝখান থেকে পুলিশ মহোদয়গণ অনুমতি না দেওয়াতে সব মীমাংসা হইয়া গেল। সেদিন খবর পাইলাম যে বড়দাদা আসিতে চান তাই আমি আসিতে বারণ করিয়াছি। এখানে কতদিন আছি তা জানি না হয়তো শীঘ্রই স্থানান্তরিত হইব। সুতরাং মিছামিছি এতদুর আসিবার কোনও হেতু দেখি না। কোনও স্থানে পাকাপাকি ব্যবস্থা হইলে তখন বরং আসিতে পারেন। এইরূপ লিখিয়াছি।
এখানে কোনও চিকিৎসা আরম্ভ হয় নাই—তা হইতে পারে না। খাওয়াদাওয়া পূর্ব্বের মতই। আহারের পরিমাণ বাড়াইবার চেষ্টা করিলে আবার যন্ত্রণা আরম্ভ হয়। ওজন ক্রমশঃ আরও কমিতেছে।
সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট সাহেব একরকম নিরুপায়; আমার সম্বন্ধে যাহাতে তাড়াতাড়ি একটা ব্যবস্থা হয় তার জন্য চেষ্টা করিতেছেন। কিন্তু এখনও পর্য্যন্ত ফল কিছু হয় নাই। কিছুকাল পূর্ব্বে কাগজে লিখিয়াছিল যে ভাওয়ালীতে পাঠাইবে। আজ পর্য্যন্ত সরকারী হুকুম কিন্তু আসিল না।
এখানে আসিবার পর দিদিকে পত্র দিতে পারি নাই বা দিদির কোনও পত্র পাই নাই। মা লিখিয়াছেন যে হয়তো দিদিরা কটকে যাইবেন কিন্তু এখন মনে হইতেছে যে আপাততঃ গোরক্ষপুরেই থাকিবেন।
গত সোমবার মাকে পত্র দিয়াছি কটকের ঠিকানায়। গত ৮ই তারিখে বাবাকে পত্র দিয়াছি। বাবার পত্র পাইয়াছি—১৭ই তারিখের। মেজদাদার ২রা তারিখের পত্র বাবা পাঠাইয়া দিয়াছেন তাঁর পত্রের সঙ্গে।
নতুন মামাবাবুকে খবর দিবেন যে, তিনি যে ঔষধ পাঠাইয়াছেন তাহা আজ এখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। বড়দাদার ১৭ই সেপ্টেম্বরের পত্রও কাল পাইয়াছি।
৩৭৮