পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 ইংরাজেরা তাহাদের মাতৃভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কথায় পঞ্চমুখ। তাহা কি সত্য? ভারত ও বিলাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আপনি এবার তুলনা করিতে পারিবেন!

 আমরা ভালই আছি। আশা করি কুশলে আছেন। ভক্তিপূর্ণ প্রণাম গ্রহণ করিবেন! ইতি—

আপনার স্নেহের 
সুভাষ 

(ইংরাজী হইতে অনূদিত)

১২
কটক
১১।১০।১১
রাত্রি ৮টা

পরম পূজনীয় মেজদাদা,

 আজই সন্ধ্যায় আপনার দীর্ঘ পত্রখানি পাইলাম। আমার শিশুসুলভ কৌতূহল চরিতার্থ করিবার জন্য আপনি যে শ্রম স্বীকার করিয়াছেন তাহার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা কিরূপে প্রকাশ করিব তাহা জানি না। ভাষা অপারগ বোধ করে; কারণ ভাষা চিন্তাকে অর্দ্ধেক প্রকাশ করে ও অর্দ্ধেক গোপন করে। মানুষ যদি ভাষাকে আরও পূর্ণতর করিতে পারিত তবে প্রকাশের পঙ্গুতা হ্রাস পাইত। বলিতে পারি না আপনার অপূর্ব্ব বর্ণনা কত সুন্দর লাগিয়াছে—কি জীবন্ত তাহার আবেদন। আপনার বর্ণিত দৃশ্যাবলী যেন আমার মানস চক্ষুর সম্মুখে নৃত্য করিতে থাকে এবং যেন জীবন্ত ও বাস্তব হইয়া উঠে কেবল তাহাই নহে স্মৃতিচারণা ও অনুপ্রেরণার অভাবে পূর্ব্বে দৃষ্ট যে সমস্ত দৃশ্যাবলী বিস্মৃতির গভীরে সুপ্ত ছিল তাহা পুনরায় জাগিয়া উঠে। চলচ্চিত্রের ছবির মত দার্জ্জিলিং-এর

৩২