পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 মেজদাদা, জানি না কেন এইভাবে এই সব লিখিতেছি। আমি দেখিয়াছি মাঝে মাঝে হৃদয়ের ভার লাঘব করিতে ইচ্ছা হয়। সম্ভবতঃ ইহা সেইরূপ একটি মুহূর্ত্ত।

গত ডাকে আপনার পত্র পাইয়া যার পর নাই আনন্দ লাভ করিয়াছি। কিছুদিন হইতে অনুভব করিতেছিলাম যে, দেশান্তরের ব্যবধান আমাদের মধ্যে এক দূরত্বের সৃষ্টি করিয়াছে কিন্তু আপনার এই অনিন্দ্যসুন্দর চিঠিখানি সেই অনুভূতি ঘুচাইয়া দিয়াছে।

 আমাদের ভূতপূর্ব্ব সহকারী প্রধান শিক্ষক মহাশয় (বর্ত্তমান প্রধান শিক্ষক, সম্বলপুর জিলা স্কুল) বাবু সুরেশচন্দ্র গুপ্ত মহাশয়ের স্মৃতিরক্ষা করিতে চাই। আমরা ইংলণ্ড হইতে তাঁহার আবক্ষ মূর্ত্তি করাইতে চাই। যদি এক পাউণ্ডে হয় তবে অল্প ব্যয়ে হইল বলিতে হইবে। ভাড়া কত লাগিবে বলিয়া আপনার মনে হয়, ইংলণ্ড হইতে সরাসরি আনাইতে ৩৫ বা ৪০ টাকায় কি যথেষ্ট হইবে?

 এখন আমাদের টেষ্ট পরীক্ষা চলিতেছে। ভালই হইতেছে। আমরা ভাল আছি। আশা করি কুশলে আছেন। আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করিবেন। ইতি—

আপনার স্নেহের 
সুভাষ 

(ইংরাজী হইতে অনূদিত)

পরবর্ত্তী একচল্লিশখানা পত্র হেমন্তকুমার সরকারকে লিখিত

১৪
বৃহস্পতিবার
বৈকাল
19-6-14

 ট্রাম হইতে নামিয়া বুকটান করিয়া বাড়ীতে ঢুকিলাম। সত্যেন মামা ও একটি পরিচিত ভদ্রলোকের সঙ্গে বাহিরের ঘরে দেখা হয়।

৩৮