পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তারা একটু আশ্চর্য্য হইল। ভিতরে পিসা মহাশয় দাদা প্রভৃতির সঙ্গে দেখা হল। মার কাছে খবর গেল। অর্দ্ধেক পথে তাঁর সঙ্গে দেখা। প্রণাম করিলাম—তিনি দেখিয়া থাকিতে না পারিয়া কাঁদিতে লাগিলেন। পরে এই মাত্র বলিলেন—“আমার মৃত্যুর জন্য তােমার জন্ম। আমি এতক্ষণ থাকিতাম না গঙ্গায় বাঁপ দিয়া মরিতাম কেবল পারি নাই মেয়েদের জন্য।” আমি মনে ২ হাসিতে লাগিলাম। তারপর বাবার সঙ্গে দেখা। তিনি ত প্রণামান্তে আলিঙ্গন করিয়া নিজের ঘরের দিকে লইয়া চলিলেন। অর্দ্ধেক পথে কাঁদিয়া ফেলিলেন এবং ঘরে অনেকক্ষণ আমাকে ধরিয়া কাঁদিতে লাগিলেন। আলিঙ্গনাবদ্ধ হইয়া যখন কাঁদিতেছিলেন তখন আমার মনে হইতেছিল শুভ্রজ্যোৎস্না মধ্যবর্ত্তী সেই কচি মুখখানি যাহার জন্য সব ভুলিতে চেষ্টা করিয়াছি—কিন্তু শরীর মন পারে নাই। তারপর তিনি শুইয়া পড়িলেন আমি ধীরে ২ পায়ে হাত বুলাইতে লাগিলাম—তখন তিনি বােধ হয় ব্রহ্মসুখ অনুভব করিতেছিলেন। তারপর কিছুক্ষণ ধরিয়া দুইজনে জিজ্ঞাসা করিলেন কোথায় গিয়াছিলাম। সমস্ত frankly বলিলাম—টাকার কথা বলিলাম। হরিপদের কথা তাহারা টের পাইয়াছে তােমার কথা তাঁদের কাছে বলিবার আবশ্যক হয় নাই তাই বলি নাই—মামা জিজ্ঞাসা করাতে বলিয়াছি। তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। কেবল বলিলেন একখানা চিঠি দাও নাই কেন।

 নানা স্থানে টেলিগ্রাম ও খোঁজ করা হইয়াছিল। মা active ছিলেন বাবা passive কতকটা যা হয় হবে। পুলিশে খোঁজ করান হয় না, একজন পুলিশ কর্ম্মচারী relative বারণ করিয়াছিলেন। মা পাগল প্রায়—আমি বাড়ী ছাড়িয়া যাইব—তাই অগত্যা এক মামা (আমেরিকা প্রত্যাগত) চলিলেন আমার অনুসন্ধানে—বৈদ্যনাথ ও দেওঘরে পাহাড়ে সব খোঁজ করিয়া একখানি পত্র দিয়াছেন—আজ পঁহুছিয়াছে—তাহার মর্ম্ম শুনিয়াছি। বালানন্দের কাছে গিয়াছেন। আর একজন ব্রহ্মচারী বলিলেন। “যদি উপযুক্ত না হইয়া

৩৯