পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভাবে সম্মান করিতে না শিখি ততদিন এ বাঙ্গালীর —এ ভারতের উদ্ধার নাই। থিয়েটার দিয়া আবার অভিনন্দন! ছি! ছি! হায় ভারত! হায় বাঙ্গালী, তোমার কি এতদূর অধঃপতন হইয়াছে?

 এ ঘটনাটী আমায় বড় স্পর্শ করেছে। পূজ্যপাদ ধর্ম্মপাল একটি কথা বলেছিলেন সভায় বসে আমার বারংবার মনে পড়িতে লাগিল। So long as men run after sensual pleasure India will not rise. তার কথা ঠিক মনে নাই। তবে ভাবার্থ এই। আমি দেখিলাম sensual pleasure বাঙ্গালীর হাড়ে ২ প্রবাহিত— আর ইহাই মস্তিষ্কবান বাঙ্গালীর দুর্ব্বলতার প্রধান কারণ।

 এর উপায় কি? আমার মনে হয় Counteract করিবার জন্য একদল কঠোর “Puritanic principles” বিশিষ্ট যুবকবৃন্দ চাই। দেশের লোকেদের চোখ খুলে দেওয়া চাই। বাস্তবিক রামকৃষ্ণ জাতীয় চরিত্রের মূল ধরেছিল।

 জানি না জগদীশচন্দ্র এই অভ্যর্থনা কি ভাবে নিয়েছিলেন। স্বদেশভক্ত জগদীশচন্দ্র দেশের দান দুই হাত পাতিয়া অবশ্য লইবেন— ছাইভস্মই দিক্ আর ফুলচন্দনই দিক্‌। কিন্তু এই অভ্যর্থনাতে তিনি যে হৃদয়ে বেদনা পাইয়াছেন তার কোন সন্দেহ নাই।

 আমি “আগামী সোমবারে পাঠ্য” একটী প্রবন্ধ লিখিতেছি— আমাদের Debating Club-এর জন্য— বিষয় “The civilisation of India in the Vedic and Pouranic Age.” তুমি যদি ২।১টি বই এর মধ্যে পাঠাতে পার বা নাম প্রভৃতি hints বা তোমার notes পাঠাইতে পার তাহা হইলে ভাল হয়।

 * * *

৬৭