পাতা:পথের পাঁচালী.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
পথের পাঁচালী
পথের পাঁচালী

8ર 8 পথের পাচালী তাহার হয়, কতবার হইয়াছে, বেণীক্ষণ ধরিয়া সে যদি বাড়ী না থাকে, কি ভাইৰে না দেখে, ভাইয়ের রাশি রাশি কাল্পনিক দুঃখের কথা মনে হুইস্থা মনের মধ্যে কেমন করে । তাহার অমন দুধে-জালত রংএর সোনার পুতুলের মত ভাইট ময়লা-আধছেড়া-মত একখানা কাপড় পরিয়া বাড়ীর দরজার সামনে আপনমনে এক এক কড়ি চালিয়া বেগুন-ৰীচি খেলিতেছে । তাহার কাছে পয়লা চায় এটা-ওটা কিনিতে, লে দিতে পারে না-ভারি কষ্ট হয় মনে— দিন কয়েক পরে । ভুবন মুখুয্যের বাড়ী বাণুর দিদির বিবাহ শেষ হইয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু এখনও কুটুম্ব-কুটুম্বিনীরা সকলে যান নাই । ছেলে মেয়েও অনেক। একটি ছোট মেয়ের সঙ্গে দুর্গার বেশ আলাপ হইয়াছে, তার নাম টুনি । তার বাপও আসিয়াছিলেন। আজ দুপুরের পর স্ত্রী ও কন্যাকে কিছুদিনের জন্ত এখানে রাখিয়া কৰ্ম্মস্থানে গিয়াছেন। ঘণ্টাখানেক পরে, সেজ ঠাকুরুণ এ ঘরে কি কাজ করিতেছিলেন, টুনির মায়ের গলা তাহার কানে গেল। সেজ ঠাকুরুণ দালানে আসিয়া বলিলেন—কি রে হাসি, কি ? টুনির মা উত্তেজিতভাবে ও ব্যস্তভাবে বিছানাপত্র, বালিসের তলা হাতড়াইতেছে, উকি মারিতেছে, তোষক উন্টাইয়া ফেলিতেছে , বলিল—এই একটু আগে আমার সেই সোনার পিদুরের ৰেীটোটা এই বিছানার পাশে এই খানটায় রেখেচি, থোকা দোলয় চেচিয়ে উঠল, উনি বাড়ী থেকে এলেন—আর তুলতে মনে নেই—কোথায় গেল আর তো পাচ্ছি নে ?— সেজ ঠাকুরুণ বলিলেন—ওমা সে কি ? হাতে করে নিয়ে যাস্নি তো ? —না দিদিম, এইখানে রেখে গেলুম। বেশ মনে আছে, ঠিক এইখানে— সকলে মিলিয়া খানিকক্ষণ চারিদিকে খোজাখুজি করা হইল, কৌটার সন্ধান নাই । সেঙ্গ ঠাকুরুণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন, দালানে প্রথমটা এ বাড়ীর ছেলে-মেয়ে ছিল, তারপর থাবার খাওয়ার ডাক পড়িলে ছেলেমেয়ের সব খাবার থাইতে যায়, তখন বাহিরের লোকের মধ্যে ছিল দুর্গ। সেজ ঠাকুরুণের ছোট মেয়ে টেপি চুপি চুপি বলিল—আমরা যেই খাবার খেতে গেলাম দুৰ্গ গাদি তখন দেখি যে খিড়কীর দোর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, এই মাত্তর আবার এসেচে— সেজ ঠাকুরুণ চুপি চুপি কি পরামর্শ করিলেন, পরে রুক্ষস্থরে দুর্গাকে এলিলেন-কোঁটে দিয়ে দে দুগংগা, কোথায় রেখেটিস বল—বার করু এখ, খুনি বলচি— দুর্গার মুখ শুকাইয়া এতটুকু হইয়া গিয়াছিল, সেজ ঠাকরুণের ভাবভঙ্গিতে তাহার জিব যেন মুখের মধ্যে জড়াইয়া গেল। অস্পষ্টভাবে কি বলিল ভাল বোঝা গেল না। টুনির মা এতক্ষণ কোনো কথা বলে নাই—একজন ভদ্রঘরের মেয়েকে সকলে মিলিয়া চোর বলিয়া ধরাতে সে একটু অবাক হইয়া গিয়াছিল, বিশেষতঃ দুর্গাকে সে কয়েকদিন এখানে দেখিতেছে, দেখিতে বেশ চেহাৱা বলিয়া দুর্গাকে সে পছন্দ করে—সে চুরি কৱিৰে ইহা কি সম্ভব ? সে বলিল—ও নেয় নি বোধহয় লেজদি—ও কেন==