পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮ । পত্রধারা 8 o আজ সুরুলে হলচালন উৎসব হবে । লাঙল ধরতে হবে অামাকে । বৈদিক মন্ত্রযোগে কাজটা করতে হবে ব’লে এর অসম্মানের অনেকটা হাস হবে । বহু হাজার বৎসর পূর্বে এমন একদিন ছিল যখন হাললাঙল কাধে ক’রে মানুষ মাটিকে জয় করতে বেরিয়েছিল, তখন হলধরকে দেবতা বলে দেখেছে, তার নাম দিয়েছে বলরাম। এর থেকে বুঝবে নিজের যন্ত্রধারী স্বরূপকে মানুষ কতখানি সম্মান করেছে, বিষ্ণুকে বলেছে চক্রধারী, কেননা এই চক্র হচ্ছে বস্তুজগতে মানুষের বিজয়রথের বাহন। মাটি থেকে মানুষ ফসল আদায় করেছে এটা তার বড়ো কথা নয়, বড়ো কথা হচ্ছে হাল লাঙলের উদ্ভাবন । এমন জন্তু আছে যে আপনার দাত দিয়ে পুথিবী বিদীর্ণ ক’রে খাদ্য উদ্ধার করে, মানুষের গৌরব হচ্ছে সে আপন দেহের উপর চূড়ান্ত নির্ভর করে না, তার নির্ভর যন্ত্র উদ্ভাবনী বুদ্ধির উপর। এরই সাহায্যে শুারীর_কমে একজন মানুষ হয়েছে বহু মানুষ। গৌরবে বহুবচন। আজ আমরা একটা মিথ্যে কথা প্রায় ব’লে থাকি dignity of labour অর্থাৎ শারীর শ্রমের সম্মান । অন্তরে অন্তরে মানুষ এটাকে আত্মাবমাননা ব’লেই জানে। আজ আমাদের উৎসবে আমরা হাল লাঙলের অভিবাদন যদি করে থাকি তবে সেটা আপন উদ্ভাবন কৌশলের আদিম প্রকাশ বলে। সেই